সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

সা’লি’শি সভায় কিশোরীকে প্রথম দেখাতেই প্রেম, প্রেমিককে হটিয়ে বি’য়ে’র প্রস্তাব বৃদ্ধ চেয়ারম্যানের

বাবার অমতে নিজের পছন্দমত ছেলেকে বিয়ে করার জন্য বেঁকে বসেছিলেন বাংলাদেশের নারায়ণপাশা গ্রামের নবম শ্রেণির ছাত্রী নছিমন আক্তার নামের এক নাবালিকা। কিন্তু পাত্রকে বাবার একেবারেই পছন্দ নয়। এদিকে আবার মেয়েও নিজের পছন্দের প্রেমিককে ছাড়া বিয়ে করতে নারাজ। উপায়ান্তর না দেখে শেষমেষ সালিশি সভা বসিয়ে বিচার চেয়েছিলেন ওই নাবালিকার বাবা। আর তাতেই ঘটে গেল বিপত্তি।

সালিশি সভা বসিয়ে বিষয়টির নিষ্পত্তি করতে গিয়ে কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদারের নজরে পড়ে যান ওই নাবালিকা। সেই বৃদ্ধ চেয়ারম্যানই মেয়েটিকে বিয়ে করার জন্য প্রস্তাব দিয়ে বসেন। সে অনুযায়ী ওই বৃদ্ধ চেয়ারম্যানের সঙ্গে নাবালিকার বিয়েও হয়ে যায়। ৫ লক্ষ দেনমোহরের বিনিময়ে মেয়েটিকে বিয়ে করেন ওই বৃদ্ধ চেয়ারম্যান।

এদিকে এই ঘটনাটি মুহূর্তের মধ্যেই ফেসবুকের মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যাওয়ার দরুন ওই বৃদ্ধ চেয়ারম্যানকে এক নাবালিকাকে বিয়ে করার জন্য প্রবলভাবে সমালোচিত হতে হয়। যে কারণে বিয়ের পরপরই নববিবাহিতা স্ত্রীকে তালাক দিতে হয় তাকে। এদিকে মেয়েটিও সুযোগ বুঝে স্বামীকে তালাক দিয়ে বাবার সঙ্গেই আবার বাড়ি ফিরে যায়।

যতদূর জানা যাচ্ছে, ওই বৃদ্ধ চেয়ারম্যানের দুই সন্তান রয়েছে। নাবালিকা মেয়েটিকে দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন তিনি। তবে এজন্য অবশ্য সমালোচিত হলেও তিনি নিজের খুব একটা দোষ দেখছেন না। তিনি স্বীকার করেছেন যে ওই নাবালিকার রূপে মুগ্ধ হয়েই তিনি তাকে বিয়ে করেন। তবে তার নব বিবাহিতা স্ত্রীর তাকে পছন্দ ছিল না। যে কারণে বিয়ের পরপরই মেয়েটিকে তালাক দিয়ে দেন তিনি।