শিক্ষক দুর্নীতি মামলাতে নাম জড়িয়ে গিয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জি এবং তার বান্ধবী অর্পিতা মুখার্জীর। দুজনেই আপাতত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকদের হেফাজতে রয়েছেন। বিগত কয়েকদিন ধরেই তারা জামিনের চেষ্টা করছেন বটে কিন্তু আদালতের পর্যবেক্ষণ অনুসারে পার্থ চ্যাটার্জী জামিন পাওয়ার যোগ্য নয়। এদিকে অর্পিতা তো আবার জামিন নিয়ে নাকি আবেদনই করছেন না!
কিন্তু দীর্ঘদিন এভাবে জেলের মধ্যে বন্দি থাকতে থাকতে রীতিমতো ভেঙে পড়েছেন পার্থ চ্যাটার্জী। বুধবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানিতে আদালতে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন পার্থ এবং অর্পিতা। সেখানে রীতিমতো কান্নায় ভেঙে পড়লেন পার্থ চ্যাটার্জি। কাঁদতে কাঁদতে বললেন, আমাকে জামিন দিন, বাঁচতে দিন! আর অর্পিতা? তিনি ছিলেন একেবারেই নিরব।
এদিন বিচার চলাকালীন বিচারক পার্থ চ্যাটার্জীকে বলেন তিনি চাইলে এবার কিছু বলতে পারেন। তখনই রীতিমতো কান্নায় ভেঙে পড়েন পার্থ চ্যাটার্জি। তিনি তার রাজনৈতিক জীবনের প্রসঙ্গ টেনে আনেন।
পার্থর আইনজীবী আদালতে জামিনের জন্য আবেদন করেন। অন্যদিকে ইডির তরফ থেকে তার বিরোধিতা করা হয়। তিনি বলেন নিয়োগের দুর্নীতির অংকটা প্রায় ১০০ কোটির কাছাকাছি, অতএব পার্থ চ্যাটার্জীকে জামিন দেওয়া সমীচীন হবে না।
এদিকে আদালতে জামিনের প্রসঙ্গ উঠতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন পার্থ। তিনি বলেন যারা বলছেন এত টাকার দুর্নীতি হয়েছে তারা যেন তার বাড়িতে গিয়ে দেখে আসেন। অন্যদিকে অর্পিতার তরফ থেকে এদিন জামিনের জন্য আবেদন করা হয়নি। তার আইনজীবী জামিনের জন্য কিছুই বলেননি।