অনেকেই কম বিনিয়োগ করেও ভালো লাভের আশা করেন। সেই ক্ষেত্রে আমানতকারীরা বহুবার ঝুঁকির বিনিয়োগের প্রলোভনে পা দেন। পরবর্তীকালে যার ফলও ভুগতে হয় তাঁদের। কিষাণ বিকাশ পত্র তাই ঝুঁকি ছাড়াই টাকা দ্বিগুণের পথ দেখাচ্ছে। পোস্ট অফিস ছাড়া ব্যাঙ্কেও করতে পারেন এই সরল বিনিয়োগ। কিষাণ বিকাশ পত্র পোস্ট অফিস বা বাঙ্কে করা যেতে পারে। সরকারের এই আর্থিক যোজনা অনুযায়ী, জমা অর্থ দ্বিগুণ হতে সময় লাগে ১২৪ মাস(১০ বছর ৪মাস)। এই নির্দিষ্ট সময়ই হল কিষাণ বিকাশ পত্রের টাকা জমা রাখার মেয়াদকাল।১৯৮৮ সালে ভারতীয় ডাক বিভাগ প্রথম এই আর্থিক যোজনা নিয়ে আসে। যদিও ২০১১ সালে সরকারি কমিটির নির্দেশ মেনে বন্ধ করে দেওয়া হয় এই স্কিম।
সরকারের তরফে আশঙ্কা করা হয়, এই স্কিমে টাকা রেখে অর্থ পাচার করতে পারে কালো টাকার কারবারীরা।যদিও পরবর্তীকালে সরকারের নির্দেশেই ফের কিষাণ বিকাশ পত্রে শুরু হয়। সেই থেকে যোজনায় টাকা রাখতে মানতে হয় কিছু নতুন নিয়ম।এখন কোনও ব্যক্তি এই স্কিমে ৫০,০০০ টাকার বেশি বিনিয়োগ করতে গেলেই দেখাতে হবে প্যান কার্ড। এমনকী ১০,০০,০০০ টাকার বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আয়ের প্রমাণ দেখাতে হয়।
কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে KVP-র অ্যাকাউন্ট ট্রান্সফার হতে পারে। ১ কোনও কারণে আমানতকারীর মৃত্যু হলে তাঁর উত্তরাধিকারী বা নমিনি সেই টাকা পেতে পারেন। ২ জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট হোল্ডারের ক্ষেত্রে কোনও ব্যক্তির মৃত্যু হলে অন্যের নামে অ্যাকাউন্ট ট্রান্সফার হয়ে যাবে। ৩ আদালত যদি অ্যাকাউন্ট ট্রান্সফারের নির্দেশ দেন তাহলে এই কাজ হতে পারে। তাই আমানতকারীর উচিত বিনিয়োগের আগে ভালভাবে সুদ সম্পর্কে জেনে নেওয়া।