বলিউড হোক কিংবা হলিউড আমরা প্রায়ই লক্ষ্য করে থাকি একের পর এক তারকাদের প্রেমিক বা প্রেমিকা বদলাতে। বেশিরভাগ অভিনেতাদেরই দেখা যায় কয়েক বছরের বেশি স্থায়ী হয়না তাদের সম্পর্ক। নেপথ্যে বেশিরভাগই কেরিয়ার সংক্রান্ত সমস্যা থাকে। তবে টাইটানিকের নায়ক হলিউড মেগাস্টার লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিওর বার বার সম্পর্ক ভাঙতে দেখা যায়। এটা নতুন কিছু নয় তবে এনার সব প্রেমিকারই ২৫ বছর বয়সীর আগে অবধি থাকে সম্পর্ক। ২৫ বছরে পরে গেলেই ব্রেক আপ হয়ে যায় তাদের। একজন নয় জীবনে তিনি যতগুলো প্রেম করেন সব গুলোরই একই অবস্থা হয়।
ফলে নেটিজেনদের মনে এই নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই। কেনো বার বার ২৫ বছর বয়স হলেই ভেঙে যায় তাঁর যেনো সম্পর্কই।
সম্প্রতি তার প্রেমিকা ক্যামিলা মোর্রোনের সঙ্গে চুটিয়ে প্রেম করেছেন টানা চার বছর। ১৬ জুন ছিল ক্যামিলার ২৫ বছরের জন্মদিন এবং এক মাসের মধ্যেই তাঁর সঙ্গে প্রেমে ইতি টানেন লিওনার্দো। একবার নয়, দু’বার নয়। প্রত্যেকবারই এটাই দস্তুর। এটাই ঘটে এসেছে। বিষয়টি ইচ্ছাকৃত না কাকতালীয়, সেটা অবশ্য জানেন একমাত্র লিওনার্দোই।
অতীত ঘাটলে দেখা যাবে ১৯৯৯ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত লিওনার্দোর জীবনে এসেছিলেন ব্রেজ়িলীও ফ্যাশন মডেল গিসেল বুন্ডচেন। দেখা গিয়েছিল, সেই প্রেমিকার বয়স ২৫ বছর পেরতেই ব্রেকআপ হয় তাঁদের। ব্রেকআপের পরের বছর লিওনার্দো প্রেমে পড়েন ইজ়রাইলের মডেল বার রেফায়েলির। ২০১০ সাল পর্যন্ত টিকেছিল সেই সম্পর্ক। প্রেমিকার বয়স ২৫ হতেই ব্রেকআপ ঘটে।
আরো পড়ুন: ফোনে ১ লক্ষ টা’কা চেয়ে হু’ম’কি! কল রে’ক’র্ড শুনেই পুলিশ অফিসারকে সাসপেন্ড হাইকোর্টের
এভাবেই ব্লেক লাইভলি, এরিন ইদারটন, টোনি গার্নে, কেলি রোরবাচ, নীনা আগদাল, ও ক্যামিলা মোর্রোন এদের সবার সাথেই কিছু বছর টিকেছে সম্পর্ক তারপর তাদের কারো ২৫ বছর বয়সের আগেই। কারো আবার ২৫ বছর হওয়ার পরেই ভেঙে যায় সম্পর্ক।
ক্যামিলার সাথে তো তাঁর প্রায় বয়সের ব্যবধান ২২ বছর। ২০১৮ সালে সম্পর্কে থাকাকালীন তাঁর সঙ্গে লিওর বয়সের ব্যবধান সম্পর্কে ক্যামিলা বলেছিলেন, “হলিউডের অনেকেই এই ধরনের সম্পর্ক রয়েছেন। অনেকের মধ্যেই এই ধরনের বয়সের ব্যবধান রয়েছে।”