সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

ভা’লো ছেলের বড্ড অভাব! এই গ্রামে প্রা’য় ৩০০ যুবতী বি’য়ে’র জন্য মু’খি’য়ে আছেন

ব্রাজিল নাম আসলেই মনে পড়ে যায় ফুটবলের কথা। পেলে, রোমারিও, রোনাল্ডিনহো দেশ হল ব্রাজিল। ব্রাজিল মানেই এক ঝাঁক সুন্দরির তালে তালে সাম্বা। এই ব্রাজিলেই এমন একটা গ্রাম রয়েছে যেখানে শুধু বাস করে মেয়েরা। এখানে এই মেয়েদের মধ্যে বহু মেয়ে আছেন যারা বিবাহযোগ্য তারা বিয়েও করতে চান কিন্তু বিয়ের জন্য রয়েছে বেশ কিছু শর্ত। কী সেই শর্ত? এই সমস্ত বিষয় বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব আমরা এই আর্টিকেলে।

এই গ্রামটির নাম নোইভা ডো কোরডোইরো। দক্ষিণ-পূর্ব ব্রাজিলের একটি পাহাড়ে ঘেরা গ্রাম। এই গ্রামটি মহিলা প্রধান গ্রাম। এখানে প্রায় ৬০০ জন মহিলার বাস করে। এর মধ্যে তিনশোরও বেশি মহিলা বিবাহযোগ্যা, অবিবাহিতা সুন্দরী তরুণী। এনাদের বয়স প্রায় ১৮ বছর থেকে ৩২ বছরের মধ্যে।

এই মহিলাদের বিয়ের জন্য যে শর্তগুলি রয়েছে সেগুলি হল- যে সমস্ত পাত্ররা রান্না করতে, বাসন মাজতে এবং ঘর ও বাথরুম পরিষ্কার করতে জানেন তাদেরকে এই মহিলারা বিয়ে করতে চান। বিয়ের পরে এই মহিলারা এই গ্রাম ছেড়ে কখনোই শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে থাকবেন না। এই গ্রামের মহিলাদের প্রধান জীবিকা হল পশুপালন।

আরো পড়ুন: অর্পিতার বর্ণময় জী’ব’ন আতচকাঁচের নী’চে, কি কি করেছেন এতদিনে?

আজও এই গ্রামে ছেলে জন্মালে ওই শিশুটির যখন ১৮ বছর বয়স হবে তখন তাকে গ্রাম থেকে অন্যত্র পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এই গ্রামের মেয়েরা সুন্দরী যুবতী হওয়া সত্বেও কেন তারা অবিবাহিত হয়ে দিন কাটাচ্ছেন? শোনা যায় ১৮৯০ সালে মারিয়া সেনহোরিনা ডি লিমা নামের এক তরুণীকে তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে দেওয়া হলে তিনি বেশিদিন থাকতে পারেননি শ্বশুরবাড়িতে।

১৮৯১ সাল থেকে তিনি নিজের হাতে এই গ্রামটিকে তৈরি করেন। এই গ্রামে মেয়েদের একটাই শর্ত হল যে তারা বিয়ের পর শ্বশুর বাড়ি যাবেন না। দেড়শ বছর পরও এই গ্রামের মহিলারা এই নিয়ম মেনে চলেন। অন্য গ্রামের পাত্র পাওয়া তাদের কাছে বেশ সমস্যার হয়ে দাঁড়িয়েছে তাই তারা অবিবাহিত হয়েই জীবন যাপন করেন।