করোনাভাইরাস এর নতুন স্ট্রেন ওমিক্রন নাকি নেহাত সর্দি-কাশি হাঁচির মতই নিরীহ। তবে এই নিরীহ ওমিক্রন নাকি মারাত্মক রূপ ধারণ করতে পারে পরবর্তী দিনে। বিশেষজ্ঞরা অন্তত তেমনটাই আশঙ্কা করছেন। ভবিষ্যতে আরও মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে করোনার এই নতুন স্ট্রেন।
বর্তমানে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে প্রতিদিন গড়ে 30 জনের মৃত্যু হচ্ছে। যাদের কোমর্বিডিটি রয়েছে তাদের জন্য অত্যন্ত মারাত্মক এই ওমিক্রন। এই নিয়ে গবেষণা করার জন্য এবার নিজের দেহ দান করে গেলেন 89 বছর বয়সী এক ব্যক্তি।
89 বছর বয়সে নির্মল চন্দ্র দাস শুক্রবার চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউট মারা গিয়েছেন। তার শেষ ইচ্ছা ছিল মৃত্যুর পর তার দেহ কাটাছেঁড়া করে চিকিৎসকরা জেনে নিন ওমিক্রনের প্রভাব। আরজিকর মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগে দান করা হয়েছে তার দেহ। ডাক্তার সোমনাথ দাসের তত্ত্বাবধানে তার রোগ নির্ণয়ক ময়না তদন্ত হবে বলে জানা গিয়েছে।
মরণোত্তর দেহদানে অগ্রণী সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে ওই মৃত ব্যক্তির পরিবারের তরফ থেকে ময়না তদন্ত করার জন্য অনুরোধ করা হয়। তারা সেই প্রস্তাবে রাজি হয়েছেন। তারপর ওই মৃত ব্যক্তির রোগ নির্ণয়ক ময়নাতদন্ত করা হলো।
উল্লেখ্য এই রাজ্যে তথা সমগ্র দেশে সম্ভবত এই প্রথম কোনো ব্যক্তির মৃত্যুর পর রোগ নির্ণয়ক ময়না তদন্ত হচ্ছে। উল্লেখ্য রাজ্যে করোনার গ্রাফ ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী। গত 24 ঘন্টায় সংক্রমিত সংখ্যা 3 হাজার 805 জন।
বৃহস্পতিবারের তুলনায় শুক্রবার দৈনিক সংক্রমণ কিছুটা হলেও বেড়েছে। দৈনিক সংক্রমণে নিরিখে এই মুহূর্তে শীর্ষে রয়েছে কলকাতা। এমতাবস্থায় করোনার চিকিৎসার জন্য গবেষণা করার কাজে নিজের দেহ দান করে গেলেন কলকাতার এই বাসিন্দা।