পথে-ঘাটে বহু ভিক্ষাজীবীকেই দেখে থাকি আমরা। এদের মধ্যে কেউ কেউ হন শারীরিকভাবে অক্ষম। শারীরিক অক্ষমতার দরুন তারা ভিক্ষা করে জীবিকা নির্বাহ করেন।
বাঁকুড়ার আলমপুরের বাসিন্দা কিরণবালাও ভিক্ষা করছেন তবে তার একার জন্য নয়। তিনি নিজে শারীরিকভাবে অসুস্থ। তবুও তিনি তার মানসিক ভারসাম্যহীন ভাইপোকে বাঁচাতে ভিক্ষা করছেন।
ছোটবেলায় টাইফয়েডে আক্রান্ত হয়েছিলেন কিরণবালা। তখনই হাটাচলার শক্তি হারিয়ে ফেলেন তিনি। বাবা-মাকে ছোটবেলাতেই হারিয়েছেন। দাদা-বৌদির সংসারে থাকতেন কিরণবালা।
আরো পড়ুন: চাষ করতে হ’বে মা’ত্র ১ বার, আ’য় করবেন এক টা’না ২৪ বছর! জেনে নিন কি ফল এটি
কিন্তু মানসিক ভারসাম্যহীন সন্তানের জন্ম হলে এই পরিবারে নিদারুণ কষ্টের দিন শুরু হয়। তার দাদা মানসিক যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে মারা যান। এরপর চিকিৎসার অভাবে বছরখানেকের মধ্যে ক্যান্সার আক্রান্ত বৌদিও মারা যান।
কিন্তু কিরণবালা হার মানেননি। তিনি তার একমাত্র ভাইপো চিকিৎসার জন্য ভিক্ষা করতে শুরু করেন। বর্ধমানের এক চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করে তিনি জানতে পারেন ভাইপোকে সুস্থ করতে গেলে অনেক টাকা খরচ করতে হবে।
অগত্যা দুই পায়ের হাঁটুতে কাপড়ের মোটা আস্তরণ বেঁধে ঘুরে ঘুরে ভিক্ষে করেন কিরণবালা। তার কষ্টের কাহিনী শুনে নিন তার মুখ থেকেই। রইল ভিডিওটা।