সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

ডিম সেদ্ধ করে রে’খে দিচ্ছেন? কতক্ষণের মধ্যে খাওয়া উ’চি’ত? জানেন না কেউই!

বাংলায় একটি প্রবাদের ভীষনভাবে প্রচলন রয়েছে তা হল- সান্ডে হো ইয়া মনডে রোজ খাও আন্ডে কারণ ডিমে রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ। ডাক্তাররাও সিদ্ধ ডিম খাবার পরামর্শ দেন এবং যারা নিজেদের ডায়েট চার্ট ফলো করেন তাতেও ডিম একটি আদর্শ খাবার। ডিমে রয়েছে প্রোটিন এবং পুষ্টি। ডিম সেদ্ধ আমরা শুধুমাত্র বাড়িতেই খাই তা নয় বাইরেও বিভিন্ন জায়গায় আমরা খেয়ে থাকি যেমন বাসে ট্রেনে বা কখনো অফিসে কিন্তু এই ডিম সিদ্ধ খাবারও রয়েছে নিয়ম সে সম্পর্কে আমরা অনেকেই অবগত নই।

আসুন জেনে নেওয়া যাক সিদ্ধ ডিম সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য: প্রথমত বিশেষজ্ঞরা জানান কাঁচা ডিম বা সিদ্ধ ডিম ৪.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করলে সবথেকে উপকারী। সিদ্ধ ডিম কখনোই ফ্রিজে রাখা উচিত নয় বরঞ্চ তা সাধারণ তাপমাত্রায় রাখা দরকার। তবে ডিম সিদ্ধ করার দু’ঘণ্টার মধ্যে খাওয়া উচিত তা না হলে নানান সমস্যায় জর্জরিত হতে পারি আমরা। ডিম সংরক্ষণের রয়েছে নানান ঘরোয়া পদ্ধতি।

মূলত সিদ্ধ ডিম ফ্রিজে রাখলে দুর্গন্ধ ছড়ায় কারণ সিদ্ধ ডিমে থেকে হাইড্রোজেন সালফাইড গ্যাস উৎপন্ন হয় কিন্তু তা ক্ষতিকর নয়। তবে ফ্রিজে ডিম রেখে দিলে তা শক্ত হয়ে যায় এবং স্বাদও নষ্ট হয়ে যায়। ডিম সংরক্ষণ করতে হলে সর্বসময় একটি এয়ার টাইট পাত্রে খোসা ছাড়িয়ে সংরক্ষণ করা উচিত।

আরো খবর: ৩০ মার্চ রাম নবমী, পুজোর সময় ও তি’থি জেনে নিন

তবে আমরা সচরাচর দোকানে যে সমস্ত সিদ্ধ ডিম খেয়ে থাকি তাও আদৌও কতটা নিরাপদ তাও জেনে রাখা দরকার। ডিমের খোসা ধূসর রংয়ের কিংবা চটচটে হলে তা কখনোই খাওয়ার উপযোগী নয়। তবে খারাপ ডিম বা নষ্ট হয়ে যাওয়ার ডিম খেলে বমি নার্ভাসনেসের মতো সমস্যা এবং ডায়রিয়ার মত সমস্যা হতে পারে।

অনেক সময় তো আবার ডিমের কুসুমের রং দেখা যায় সবুজ হয়ে যায় অর্থাৎ অনেক সময় ডিম খারাপ হয়ে যায় বা অতিরিক্ত রান্না করার দরুন এমন ঘটনা ঘটে। তাই আজকের পর থেকে সিদ্ধ ডিম খাবার আগে এই সমস্ত খুঁটিনাটি বিষয়ে নজর রাখা উচিত, কারণ স্বাস্থ্যই সম্পদ তাকে ফিট রাখার দায়িত্ব আমাদেরই।