সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

করিনা কাপুর আমার মেয়ে সারা আলী খানকে ন’ষ্ট করেছেন: অমৃতা সিং

বলিউডের নতুন প্রজন্মের হিরো হিরোইনদের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় হলেন সারা আলি খান।অভিনেত্রী হওয়ার অনেক আগে তার পরিচয় হল তিনি অমৃতা সিং এবং সাইফ আলি খানের কন্যাসন্তান। তাঁদের একটি পুত্রসন্তানও রয়েছে, নাম ইব্রাহিম। তিনিও বলিউডে কাজ করার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করছেন। এটা সকলেরই জানা যে ইব্রাহিম এবং সারার সঙ্গে সাইফ আলি খানের দ্বিতীয় স্ত্রী করিনা কাপুরের খুব ভালো সম্পর্ক। আর সেই কারণেই অমৃতা সিংকে মাঝেমধ্যেই করিনার সঙ্গে তাঁর সন্তানদের সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। কিন্তু এবার এই বিষয়ে নিজেই নীরবতা ভেঙে সংবাদমাধ্যমকে উত্তর দিয়েছেন অমৃতা।

১৯৯১ সালে তৎকালীন শীর্ষ অভিনেত্রী অমৃতা সিং এবং সাইফ আলি খানের বিয়ে হয়। সেই সময় তিনি নিজের কেরিয়ারের টপে ছিলেন, কিন্তু তিনি তাঁর কেরিয়ারের কথা না ভেবে সাইফ আলি খানের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তবে, এই বিয়ে খুব বেশিদিন টেকেনি, ২০০৪ সালে তাঁদের ডিভোর্স হয় এবং তারপর থেকেই অমৃতা সিং তাঁর দুই সন্তানকে নিয়ে আলাদা সংসারে থাকতে শুরু করেন। অন্যদিকে, সাইফ আলি খানের সঙ্গে করিনা কাপুরের সম্পর্ক নিয়ে বিটাউনে গুঞ্জন ওঠে এবং সেই গুঞ্জনের অবসান ঘটিয়ে ২০১২ সালে দুজনে বিয়ে করেন। এখন করিনাও সাইফ আলি খানের দুই সন্তানের মা।

তবে অমৃতা সিং নাকি তাঁর বাচ্চাদের করিনা কাপুরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা একদমই পছন্দ করতেন না। সূত্রের খবর, করিনা কাপুরের পার্টিতে অমৃতা সিং চান নি যে, তাঁর মেয়ে সারা একটি ক্রপ টপ পরবেন। মিডিয়ার মতে, অমৃতার ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের কাছ থেকে জানা গেছে যে তিনি পছন্দ করেন না যে তার মেয়ে সারা শর্ট টপ পরুক, তাই তিনি বেশিরভাগ চুড়িদারের উপরে লম্বা কুর্তা পরতে হয় সারাকে।

কিন্তু সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অমৃতা সিং এসব কথা অস্বীকার করেছেন এবং এ প্রসঙ্গে বলেছেন, “সারা আলি খান আমার মেয়ে এবং তিনি যেই পোশাক পরুক না কেন তাতে আমার কোনো আপত্তি নেই এবং এসব দাবি একেবারেই ভুল।” তিনি আরও বলেন, “আমি জানিনা এসব কে রটায়। সারা এবং ইব্রাহিমের সঙ্গে করিনা কাপুরের ভালো সম্পর্ক নিয়ে আমার কখনোই কোনো সমস্যা ছিল না। আমিই করিনা ও সাইফের বিয়ের জন্য আমার সন্তানদের পুরোপুরি প্রস্তুত করেছিলাম। করিনার পার্টির জন্য, সারা তার নিজের পোশাক বেছে নিয়েছিল এবং আমিও সেক্ষেত্রে কোনো আপত্তি করিনি। বরং আমিই সেই সন্ধ্যায় আমার মেয়ের জন্য পুরো ওয়ারড্রোব খুলে দিয়েছিলাম। সে নিজের ইচ্ছেমতো পোশাক পছন্দ করেছে। “