সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

সন্তানের পড়াশোনার জন্য বধূ কিনেছিলেন ফোন, এরপরেই ঘ’ট’লো ভ’য়া’ন’ক কা’ন্ড

সামান্য এক স্মার্ট ফোন কেনা নিয়ে স্ত্রীকে সন্দেহ! তার জেরে স্বামী ভাড়াটে খুনী দিয়ে স্ত্রীকে খুন করার চেষ্টা করলেন। এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাতে, নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার লস্করপুর পেয়ারাবাগানে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ওই মহিলার স্বামী রাজেশ ঝা এবং ভাড়া করে আনা এক দুষ্কৃতীকে। দুস্কৃতীদের মধ্যে একজন এখনো পলাতক। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

ওই মহিলার দাবি শুক্রবার রাতে তার স্বামী ঘরে ঢোকে। তারপর তিনি স্ত্রীর কাছ থেকে চাবি নিয়ে নিজেই গেটের তালা লাগাতে যান। তালা লাগাতে দেরী হচ্ছে দেখে ওই গৃহবধূ বাইরে বেরিয়ে এলেই এক দুষ্কৃতী তার মুখ চেপে ধরে। আরও এক দুষ্কৃতী তখন ধারালো অস্ত্র নিয়ে তার দিকে তেড়ে আসে। সেই সময় তিনি চিৎকার করে উঠলে তার গলায় অস্ত্রের কোপ মারা হয়। তবে গৃহবধূর চিৎকারে ছুটে আসেন আশেপাশের লোকেরা। ততক্ষণে 2 জন দুষ্কৃতী এবং ওই মহিলার স্বামী ধরা পড়ার ভয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।

স্থানীয়রা এক দুষ্কৃতীকে ধরে ফেলে। তার কাছ থেকে খড়দহ থেকে আসা লোকাল ট্রেনের টিকিট উদ্ধার করা হয়েছে। গৃহবধূ অভিযোগ করেছেন, দুই দুষ্কৃতীর মুখ ঢাকা ছিল। স্থানীয়রা ওই গৃহবধুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় চিকিৎসার জন্য। তার গলায় সাতটি সেলাই পড়েছে। নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশকে এরপর খবর দেওয়া হয়। ওই মহিলা অভিযোগ করেছেন বিয়ের পর থেকেই তার উপর শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন চলতো। তবে সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে তিনি সবকিছু মেনে নিতেন।

তার স্বামী তাকে পাড়া প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলতে দিতেন না। এমনকি মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারতেন না তিনি। বর্তমান পরিস্থিতিতে সন্তানের অনলাইনে পড়াশোনা করানোর জন্য তিনি একটি স্মার্ট ফোন কিনে দেওয়ার কথা বলেছিলেন। তারপর তিনি নিজেই জমানো টাকা দিয়ে একটা স্মার্ট ফোন কিনেছিলেন। তবে সেটা তিনি স্বামীর কাছে লুকিয়ে রাখতেন। স্বামী বাড়ি থেকে কাজে বেরিয়ে গেলে তারপর ফোন ব্যবহার করা হতো। কিন্তু ওই মহিলার স্বামীর তাকে ফোন ব্যবহার করতে দেখে ফেলেন এবং তার পরে তাকে খুনের চেষ্টা করা হয়।