শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় গোটা রাজ্য। আবার অন্যদিকে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা বকেয়া মহার্ঘ ভাতা না পেয়ে রাস্তায় নেমেছেন। বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রায় কয়েকশো শিক্ষককে বদল করা হয়েছে। পিছনে রাজনৈতিক অভিসন্ধি দেখছেন আন্দোলনকারীরা তাদের দাবি কেবলমাত্র তাদেরকে বসে আনার জন্যই এমন কাজ করছে রাজ্য সরকার।
এই আবহে স্কুল সার্ভিস কমিশনের সংশ্লিষ্ট বদলির ধারা বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এই নিয়ে এবার মুখ খুললেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তবে তিনি সম্পূর্ণ মৌখিকভাবে এক পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন এই ব্যাপারে।
মহার্ঘভাতার আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন ডোমজুড়ের শিক্ষক অমিত ঘোষ তাকে বদলির নোটিশ দেয় শিক্ষা পর্ষদ। তার বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন অমিত, আদালত সেই নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ জারি করেছে কোন আইনে তাকে বদলি করা হচ্ছে তা প্রশ্ন তুলেছিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়?
ধর্মঘটে যদি তারা শামিল হতে না পারে তবে তাদের আন্দোলন থাকবে না তাই জন্যই ইচ্ছাকৃত তাদের বদলি করে দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করেন অমিত! এই প্রসঙ্গে অমিত সরাসরি বিচারপতির কাছে জানতে চান ধর্মঘটে যোগ দিলে কর্মজীবনের ছেদ পড়বে?
কোন আইনে এমন বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। এদিকে মহার্ঘ ভাতা নিয়ে রাজ্য সরকারকে এজলাসে রীতিমতো তুলোধোনা করেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তিনি বলেন মহার্ঘ ভাতা মিটিয়ে দিলেই তো হয় তাহলেই সব ঝামেলা মিটে যায়। এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলছে।
কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার দাবিতে ১১০ দিন ধরে রাস্তায় বসে রয়েছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের অভিযোগ আন্দোলনে যোগ দেওয়ার জন্য ৫৮০ জন সরকারি শিক্ষককে প্রত্যন্ত গ্রামে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।