সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

ববিতার নি’য়ো’গ বা’তি’লের জন্য আদালতে, তাকেই চাকরি দেওয়া হো’ক বললেন অনামিকা

২০১৭ সালে এসএসসি নিয়োগের দুর্নীতি নিয়ে যে বিতর্ক শুরু হয়েছিল সেই নিয়ে এখনও সমাধান হয়নি বললেই চলে। কিছুদিন আগে আমরা দেখেছিলাম কিভাবে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর কন্যা অঙ্কিতা অধিকারীর চাকরি বেআইনি ভাবে পাওয়া চাকরি প্রমাণিত হওয়ার পরেই তাঁর চাকরি বাতিল করে দেয় হাই কোর্ট। শুধু তাই নয় এতদিন পাওয়া সকল বেতন ফিরত দিতে হয় অঙ্কিতাকে। অঙ্কিতার চাকরি টা পেয়েছিল ববিতা সরকার।

তিনি অঙ্কিতার থেকেও যোগ্য ছিলেন বলে জানিয়েছিলেন আর তাতেই তাঁকে দেওয়া হয় ওই চাকরি। কিন্তু সম্প্রতি গল্পটায় আরো একটা টুইস্ট আসে। এখন জানা যাচ্ছে স্কুলশিক্ষিকার চাকরি পাওয়া ববিতা সরকারের বিরুদ্ধে এ বার হাই কোর্টে গেলেন অনামিকা রায়। নিজেকে যোগ্য প্রার্থী হিসাবে দাবি করে অনামিকা হাই কোর্টে আর্জি জানিয়েছেন ববিতার চাকরি বাতিল করে ওই চাকরি তাঁকে দেওয়া হোক।

অবশ্য ২৪ ঘণ্টা আগে ববিতা নিজেই নিজের নিয়োগে অনিয়ম হয়েছে জানিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন হাই কোর্টের। মঙ্গলবার অনামিকা হাই কোর্টকে জানিয়েছেন, বেশি নম্বর পাওয়ায় তিনিই ওই চাকরির যোগ্য দাবিদার। কিন্তু এমন দাবি কেনো করছেন অনামিকা আসুন জেনে নেওয়া যাক। সম্প্রতি ববিতার পাওয়া চাকরির বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে দেখা যাচ্ছে। জানা যাচ্ছে, স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-এর কাছে আবেদন করার সময় ববিতার স্নাতক স্তরের শতকরা নম্বর বাড়িয়ে দেখানো হয়েছে।

আরো খবর: আপনার কি Paytm-PhonePe-GooglePay আ’ছে? তবে রইলো সুখবর

যার ফলে তাঁর ‘অ্যাকাডেমিক স্কোর’ বেড়ে যায়। এ নিয়ে জটিলতা তৈরি হওয়ার পরেই ববিতা জানিয়েছিলেন, তিনি নিজেই বিষয়টি উচ্চ আদালতের নজরে আনবেন। সেই মতো সোমবারই হাই কোর্টে যান ববিতা। আদালত সূত্রে খবর, তাঁর আবেদন গ্রহণও করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এমনকি, ববিতার আবেদনের ভিত্তিতে মামলায় এসএসসি যুক্ত করতেও বলেন বিচারপতি। জানিয়ে দেন, বুধবার ববিতার আবেদনের পরবর্তী শুনানি হবে।

ববিতার চাকরি বাতিলের দাবিতে করা অনামিকার আবেদনটিও বুধবারই হাই কোর্টে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চেই শুনানি হবে বলে আদালত সূত্রে খবর। মঙ্গলবার বিচারপতি অমৃতা সিংহের বেঞ্চ অনামিকাকে ওই মামলা দায়েরের অনুমতিও দিয়েছেন। এবার দেখা যাক শেষ অব্দি কি হয়। কারন অনামিকার অ্যাডভোকেট জানায় ববিতার নম্বর বাড়ানো হয়েছে সেটা আগেই জানানো উচিত ছিল ববিতার।

আবার ববিতার অ্যাডভোকেট জানান এটা এসএসসি তরফ থেকে হাইকোর্টে জানানো হয়। তাই ববিতা ফর্ম পূরণ করার সময় স্নাতকে নিজের প্রাপ্ত নম্বর ঠিক দিয়েছেন। সেখানে কোনও ভুল নেই। কিন্তু শতাংশের বিকল্প নির্বাচনের ক্ষেত্রে কোনও ভুল হয়ে থাকলে সেই তথ্য যাচাই করার দায়িত্ব এসএসসি-র। যদি কোনও প্রার্থী ফর্ম পূরণে ভুল তথ্য দেয় তবে এসএসসি-র দায়িত্ব ব্যবস্থা নেওয়ার। তবে এখন আদালত যা নির্দেশ দেবে তা মেনে নেওয়া হবে।