একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর ফল প্রকাশের পর দেখা গেল কার্যত বাংলায় সিপিএম একেবারে ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গিয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে ভোট-পরবর্তী আত্মসমীক্ষায় হারের কারণ খতিয়ে দেখছে সিপিএম। সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটি সম্প্রতি এই বিষয়ে একটি রিপোর্ট পেশ করেছে। সেখানে সাফ উল্লেখ করা হয়েছে যে হিন্দু বিরোধী প্রচার এবং আদর্শগত আন্দোলনের পথে হেঁটেই আবার বাংলায় মাথা তুলে দাঁড়াতে হবে সিপিএমকে।
গতবার লোকসভা নির্বাচনের পর দেখা যায় এই দফাতে বিধানসভা নির্বাচনে একটি আসনেও জয়লাভ করতে পারেনি সিপিএম। এদিকে আবার বিধানসভায় ৩ থেকে ৭৭ আসন দখল করে নিয়েছে বিজেপি। আগে বামেদের হাতে ছিল ২৬টি আসন। আজ তা শূন্যতে নেমে এসেছে। রাজনৈতিক মহলের দাবি, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির ভরাডুবিই কার্যত বিজেপিকে বাংলায় এত প্রভাব বিস্তার করতে দিয়েছে।
আবার কংগ্রেস এবং ISF-র সঙ্গে জোটও সিপিএমকে ব্যাকফুটে নিয়ে গেছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। বিশেষত কংগ্রেসের সঙ্গে জোট নিয়ে তেমন আপত্তি না থাকলেও আইএসএফ-এর সঙ্গে জোট নিয়ে বামেদের দলের অভ্যন্তরের একাধিক নেতা আপত্তি তুলেছিলেন। বাংলায় দেশভাগ থেকে শুরু করে, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার অনেক ইতিহাস মানুষের মনে এখনও দগদগে ক্ষতের মত। ধর্ম নিরপেক্ষতা নিয়ে বাঙালির আবেগ মাথায় রাখতে হবে।
সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির বক্তব্য বিজেপি যেভাবে সাধারণ মানুষের আবেগ এবং স্মৃতিকে উস্কে দিয়ে প্রচার চালাচ্ছে, সিপিএমকেও তেমন ভাবে নীতিগত ভাবে, রাজনৈতিক ভাবে, সাংগঠনিক ও সাংস্কৃতিক ভাবে মানুষের কাছে পৌঁছে যেতে হবে।