সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

রেখাকে বাড়িতে ডে’কে নিয়ে অমিতাভ বচ্চনকে ভু’লে যাওয়ার জন্য হু’ম’কি দেন জয়া বচ্চন

অমিতাভ বচ্চন জয়া বচ্চনকে বিয়ে করেছিলেন ১৯৭৩ সালে। বাবার বকুনিতে তাড়াতাড়ি বিয়ে করে নিতে হয়েছিল তাকে। অমিতাভ বচ্চনের বাবা একেবারে আপনি যে ছেলে বিয়ে না করে কোন মেয়ের সাথে ঘুরে বেড়াক। তাই তড়িঘড়ি বিয়ে করে নিতে হয়েছে অমিতাভ বচ্চন কে। দুই সন্তানের বাবা হয়ে স্ত্রীকে নিয়ে সুখে সংসার করছিলেন আমিতাভ বচ্চন। এরপর আস্তে আস্তে অমিতাভ বচ্চনের জীবনে আসে সুন্দরী রেখা।

দো আনজানে সিনেমার মাধ্যমে রেখার সাথে অমিতাভের প্রথম পরিচয় হয়েছিল। এরপর মিস্টার নটোবর লাল, খুন পাসিনা ইত্যাদি সিনেমার মধ্য দিয়ে তাদের ধীরে ধীরে বন্ধুত্ব তৈরি হয়। ততদিনে একে অপরকে যে তারা পছন্দ করছেন তা বেশ বুঝতে পেরেছিলেন যশ চোপড়া। অভিনয় করতে করতেই অমিতাভকে মন দিয়ে ফেলেছিলেন রেখা, একথাও কারোর নজর এড়ায়নি।

তাই যশ চোপড়া এবার জয়া বচ্চন অমিতাভ বচ্চন এবং রেখাকে এক ফ্রেমে নিয়ে এলেন সিলসিলা সিনেমাতে। আজও এই ত্রিকোণ প্রেমের কাহিনী বিতর্কিত সকলের কাছে। সিনেমাটি মুক্তি হবার পর অনেকেই বলেছিলেন এটি একেবারে বাস্তব জীবন থেকে তৈরি করা হয়েছিল। তবে এই সিনেমার পরে তাদের তিনজনকে আর কখনো এক ফ্রেমে দেখা যায়নি। এমনকি যশ চোপড়ার সঙ্গে অমিতাভ বচ্চনের সম্পর্ক শেষ হয়ে যায়।

সিলসিলা সিনেমাটির মুক্তির পর রেখার কাছে জয়া বচ্চনের তরফ থেকে একটি ফোন দিয়েছিল। রীতিমতো ভদ্রতা করে জয়া বচ্চন শ্বশুরবাড়িতে আমন্ত্রণ করেছিলেন রেখাকে। সেদিন নিমন্ত্রণ করে রেখাকে আতিথিয়তায় ভরিয়ে দিয়েছিলেন। কাকতালীয়ভাবে সেইদিন আমিতাভ বচ্চন বাড়িতে ছিলেন না। জয়া বচ্চন তার শ্বশুর বাড়ি ঘুরে ঘুরে দেখিয়েছিলেন রেখা কে।

বিদায় জানানোর সময় শুধু একটি কথা বলেছিলেন তিনি রেখা কে, যাই হয়ে যাক না কেন আমি অমিতাভ ওকে ছেড়ে দেবো না। এরপরই বহুদিন জয়া বচ্চনের সঙ্গে রেখা কোনো কথা বলেননি। যদিও এগুলি এখন অতীত। কিন্তু ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে সম্পর্ক আরো একবার স্বাভাবিক হয়ে যায়।