সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

অভিষেকের আবেদনের শুনানি নি’য়ে CBI-কে প্রশ্ন জাস্টিস অমৃতা সিন্‌হার, তদন্ত কী তবে হবে না?

কুন্তল ঘোষের চিঠি কাণ্ডকে উদ্দেশ্য করে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে এরকমই নির্দেশ দেয়া হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের তরফ থেকে এবং এই নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

পরবর্তীকালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে উচ্চ আদালতে সেই মামলার এজলাস বদল হলেও বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে স্থগিতাদেশ কিন্তু মেলেনি। শীর্ষ আদালতের তরফ থেকে সমস্ত কিছু স্পষ্ট করে বলে দেওয়ার পরেও এতদিন কেন তদন্তের অগ্রগতি হয়নি সেই ব্যাপারে প্রশ্ন তুলেছেন হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা।

বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস বদল হওয়ার পর এবার মামলাটি রয়েছে বিচারপতি সিনহার এজলাসে, এখানে অভিষেকের আইনজীবী বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশের স্থগিতাদেশ চেয়েছিলেন কিন্তু গত শুক্রবার বিচারপতি সিনহা কোন অন্তর্বর্তী নির্দেশ দেননি।

সিবিআই যাতে কোনরকম পদক্ষেপ না নেই সে কারণে ও আর্জি জানিয়েছিল তৃণমূলের অন্যতম শীর্ষ নেতার আইনজীবী। এর পরিপেক্ষিতে বিচারপতির সিনহা জানিয়েছিলেন ,”আদালতের দরজা ২৪ ঘন্টাই খোলা এখনই কোন রক্ষা কবচ দেয়া হবেনা।” সোমবার তদন্তের অগ্রগতি কতটা হয়েছে সে ব্যাপারে জানতে চান বিচারপতি সিনহা।

পরিপ্রেক্ষিতেই সিবিআই এর আইনজীবী জানান আপাতত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোটিশ পাঠানো হয় কিন্তু পরে সেই নোটিস নিষ্ক্রিয় করা হয় প্রথমেই এই মামলাটি সুপ্রিম কোর্ট এবং পরবর্তীকালে হাইকোর্টের বিচারাধীন থাকার জন্য আর কোনো নতুন করে পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।

এই উত্তরে বিচারপতি সিনহা জানান ,২৮ই এপ্রিল শীর্ষ আদালত মামলাটির নিষ্পত্তি করে দিয়েছে তারপরেও তদন্ত কেন এখনো পর্যন্ত এগোয়নি? আইনজীবী যুক্তি দেন বিষয়টি বিচারাধীন থাকার কারণেই পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। প্রাথমিক নিয়োগে দুর্নীতির কারণে সৌমেন নন্দী এবং রমেশ মালিক নামের ২ চাকরিপ্রার্থী মামলা দায়ের করে।

তাদেরই মামলার শুনানি একত্রিতভাবে করছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। জেল বন্দি অধুনা বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা কুন্তল চিঠি লিখে নিম্ন আদালত এবং কলকাতা পুলিশের কাছে অভিযোগ করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বদলানোর জন্য হেফাজতে থাকাকালীন সিবিআই এর অফিসারেরা এবং ইডি তার ওপর নির্যাতন করে।

এই মামলাতে উঠে আসে অন্য তথ্য ,কুন্তল ওই চিঠি লেখার দুদিন আগেই অভিষেক শহীদ মিনারের সভামঞ্চে একই সুরে কথা বলেছেন। বাড়ি পরিপেক্ষিতে যার প্রতি গঙ্গোপাধ্যায় নাম কুন্তল কেন তুলেছেন সেই অভিষেকের বক্তৃতার সঙ্গে কুন্তলের অভিযোগের কোন সম্পর্ক আছে কিনা তার ব্যাপারে যাচাই করার জন্য নির্দেশ দেন তদন্তকারীদের।

সিনহার এজলাসে কুন্তলের সেই চিঠি এবং সংবাদমাধ্যমে তার বলা কথাগুলো পড়ে শোনান কেন্দ্রীয় সংস্থার আইনজীবীরা, তার সঙ্গে পড়ে শোনানো হয় শহীদ মিনারে অভিষেকের বক্তৃতার কথাগুলো।