তাকে জীবন্ত ঈশ্বর বলে অভিহিত করেন অনেকে। অথচ সেই দিনই কিনা এবার নিজেকে শয়তান বলে দাবি করলেন। তিনি হলেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। যার হাত দিয়ে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার জট খুলছে। সোমবার আদালতে এক আবেদনকারীর মন্তব্যে তিনি এমনভাবেই প্রতিক্রিয়া দিলেন। যা নিয়ে ভরা এজলাস সরগরম হয়ে ওঠে। কিন্তু হঠাৎ কি কারনে নিজেকে শয়তান বললেন বিচারপতি গাঙ্গুলী?
প্রসঙ্গত শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তার কড়া রায়দান স্বয়ং রাজ্য সরকারকেও চাপিয়ে ফেলে দিয়েছে। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার কথা মনে আসলেই তার নাম ভেসে ওঠে বেকার যুবক যুবতীদের মনে। প্রচুর যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের হাতে চাকরির নিয়োগপত্র ধরিয়ে দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। রবিবার প্রাথমিক টেট এর পরীক্ষা দিতে যাওয়ার সময় অনেকেই ঠাকুরের সঙ্গে সঙ্গে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের ছবিকেও প্রণাম করে গিয়েছেন।
সোমবার সকালে অন্যান্য দিনের মতন শুরু হয়ে গিয়েছিল আদালতের কাজকর্ম। প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির একটি মামলার শুনানি চলছিল। সেই সময় হঠাৎই এক মহিলা এগিয়ে আসেন বিচারপতির কাছে,তিনি বলেন ধর্মাবতার আমি বঞ্চিত চাকরি প্রার্থী বহু বছর ধরে ঘুরছি মামলা করেছি কিন্তু কোন ফল হয়নি। বিচারপতি তাকে জানান, এভাবে মামলা গৃহীত হয় না বরং পদ্ধতি মেনে আবেদন করলে তবেই সেই মামলা ধার্য হয়।
আরো খবর: লেনদেনের ক্ষে’ত্রে ই-রুপি কি হিসেবে কা’জ ক’র’বে? জানুন বি’শ’দে
তখনই আবেদনকারী মহিলা বলেন, আপনি ভরসা ভগবানের মত দেখি। ঠিক তখনই বিচারপতির সাফাই আমি ভগবান টগবান নই। আমি শয়তান হয়ে গিয়েছি। যদিও তার পরেই আবেদনকারীর কাছে তার মামলার নম্বর চেয়ে নেন তিনি। বুধবার এই বিষয়টি দেখতে পারেন বলেও আশ্বস্ত করেন। আদালত পক্ষ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় মাথা ঘুরে পড়ে যান ওই মহিলা।
তাতে উদ্বিগ্ন বিচারপতি জ্ঞান ফিরলে মহিলাকে আশ্বস্ত করেন আপনি সাবধানে যান চিন্তা করবেন না মামলার শুনানি হবে। এদিকে আইনজীবী মহলের দাবি, দুর্নীতি টেনে খুঁজে বের করে কারোর কারোর গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাই মানুষের কাছে তিনি ভগবান আর অমানুষের কাছে শয়তান