সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

“জনসন অ্যান্ড জনসন” বেবি পাউডারে রয়েছে বি’ষা’ক্ত পদার্থ! গো’টা বিশ্বে পণ্য বি’ক্রি ব’ন্ধ করলো সংস্থা

ম্যাগীর মতোই জনসন এন্ড জনসন বেবি পাউডার ঘিরে তৈরি হয়েছিল বিতর্ক। বেশ কয়েক বছর ধরে এই বিতর্ক অব্যাহত রয়েছে। ২০২০ সাল থেকে আমেরিকা এবং কানাডায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল এই পাউডারের বিক্রি। এবার গোটা বিশ্বে তাদের এই পণ্য বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিল সংস্থা।

বৃহস্পতিবার সংস্থা তরফ থেকে এই ঘোষণা করা হয়েছে যেখানে জানানো হয়েছে, আগামী বছর থেকে আর বেবি পাউডার বিক্রি করবে না তারা। কিন্তু ঠিক কি অভিযোগ উঠেছে এই পাউডার ঘিরে? এই পাউডারে অ্যাসবেষ্টসের নমুনা পাওয়া গিয়েছে। এটি শিশুর পক্ষে ভীষণভাবে ক্ষতিকারক। আনসার পর্যন্ত হতে পারে।

বছর তিনেক আগে এই অভিযোগ ওঠার পর ক্রমেই বিতর্ক শুরু হয়েছিল। এই পরিচয় দিতে আমেরিকা এবং কানাডার পর এবার সম্পূর্ণভাবে পাউডারটি বিক্রি করে দিচ্ছে জনসন অ্যান্ড জনসন। সংস্থার তরফ থেকে জানানো হয়েছে আমেরিকায় চলতে থাকা অসংখ্য ক্রেতা সুরক্ষা মামলার কথা মাথায় রেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আরো পড়ুন: সেতু না থা’কা’য় নদীতে বুক সমান জল পার হয়ে শ্ম’শা’নে ম’র’দে’হ নিয়ে যা’চ্ছে পরিজনরা

১৯৪৮ সাল থেকে এই পাউডার বিক্রি হয়ে চলেছে। প্রায় প্রত্যেক ঘরে ঘরেই এই পাউডার ব্যবহার করা হয়। কিন্তু আমেরিকার ৩৫ হাজার মহিলা জরায়ু ক্যান্সারের জন্য এই সংস্থাকে দায়ী করার পর হঠাৎ করে এই পাউডারের চাহিদা কমে যাচ্ছিল। আমেরিকার আদালত সংস্থাকে 15 হাজার কোটি টাকার জরিমানা সাজা দিয়েছিল।

আদালতের বক্তব্য অনুযায়ী, সমস্যাটি শিশুদের পণ্য নিয়ে রীতিমতো ছেলে খেলা করছে। এই অপরাধের শাস্তি কেবল অর্থের জরিমানাতে শেষ হতেই পারে না।

পরিস্থিতি ক্রমশ প্রতিকূল হয়ে যাচ্ছিল। বাধ্য হয়ে ২০২০ সালে আমেরিকা এবং কানাডায় এই পাউডার বিক্রি করে দেওয়ার কথা বলেন সংস্থা। কিন্তু তারপরে বিতর্ককে সঙ্গী করে বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে এই পণ্য বিক্রি করা হচ্ছিল। অবশেষে বৃহস্পতিবার বিশ্বের বাজার থেকে পণ্যটি তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলেও সংস্থা।