সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

অবিবাহিতদের ঘরে এইসব কা’জ করা ঠি’ক না! সুখী হ’তে চাইলে কি করণীয় জেনে নিন

বাস্তু শাস্ত্র আমাদের জীবনের সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত। যদি কোনো কিছুর নির্মাণ বাস্তুর নিয়ম অনুসারে না হয় তবে জীবনে দেখা দিতে পারে নানান সমস্যা। আমাদের যেমন বাস্তুশাস্ত্র, চিনা জ্যোতিষ মতে অনেকটা তেমনই ফেংশুই। আগে বাস্তুশাস্ত্রের নীতিগুলি রক্ষণশীলদের জন্য ছিল, এবং ফেংশুই আধুনিক মানসিকতার মানুষদের জন্য ছিল।

বর্তমানে বাস্তুশাস্ত্রের মত চিনা ফেংশুই ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ফেংশুই-এর টোটকাগুলি বাস্তু দোষ কাটানোর অব্যর্থ উপায়। বাস্তু দোষ দূর করার পাশাপাশি আরও নানা কাজে ফেংশুই-এর বিভিন্ন টিপস পালন করা হয়।

এইভাবে অনেকে জীবনে উন্নতি সাধন করেন। এই ফেংশুই বিদ্যার অন্যতম দিক হল লাফিং বুদ্ধা, উইং চাইম, ক্রিস্টালের বিভিন্ন জিনিস ইত্যাদি। সেই ফেংশুই মতে ঘরে ছোট ছোট দিকগুলিও ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করা দরকার।

আরো পড়ুন: মাঙ্কি পক্সকে রুখবেন কি করে? উপায় ব’লে দি’লো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

অনেক সময় এই ছোট ছোট দিকগুলির অবহেলার জন্য সুস্থ জীবনযাপনে আসতে পারে একাধিক বাধা। তাই ফেংশুই এর মতানুসারে এই কয়েকটি দিকের প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখা প্রয়োজন।

১) অবিবাহিতদের শোবার ঘরে দক্ষিণ পশ্চিম দিকে বিছানা রাখার উল্লেখ রয়েছে ফেংশুই বিদ্যায়। অবিবাহিতদের ঘরের দেওয়ালে হালকা গোলাপী রঙ করা শ্রেয়। আর তাছাড়া যেদিকে মাথা করে শোবেন, সেই দিকটিতে যেন কোনো দেওয়াল না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

২) ফেংশুই মতে বলা হয়েছে অবিবাহিতদের শোবার ঘরে যেন কোনো বিম না থাকে। এছাড়া অবিবাহিতরা যাতে একটি বিছানায় শুতে পারেন, তার বন্দোবস্ত করতে হবে। অর্থাৎ তারা যেন দুটি বিছানা মিলিয়ে একটি বিছানা তৈরি করে তাতে না শোয়। এমনকি ঘরের মধ্যে যাতে ছেদ না থাকে সেই দিকটা ভালোভাবে খেয়াল রাখতে হবে। এই ছেদ যদি থাকে তাহলে তার খারাপ প্রভাব পরবর্তীকালে দাম্পত্য প্রেমে সুখের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবে।

৩) ফেংশুই মতে অবিবাহিতদের শোবার ঘরে কম্পিউটার বা টিভি একেবারেই রাখা ঠিক নয়।কারণ এতে বিয়ের ক্ষেত্রে আসতে পারে নানান বাধা বিপত্তি।

৪) অবিবাহিতদের শোবার ঘরে নদী,জল, বা জলাশয়ের ছবি রাখা উচিত নয়। কারণ এর জেরে প্রেমের সম্পর্কে বিচ্ছেদ ঘনিয়ে আসতে পারে এবং কোনো বিয়ের প্রস্তাব এলে তাও ভেঙে যায়।

৫) ফেংশুই মতে, অবিবাহিতদের বিছানার কাছে বা পাশে কোনো আয়না রাখা ঠিক নয়, কারণ এতে বিয়ের কথা বার্তায় ব্যাঘাত ঘটতে পারে এবং বিয়ে ভেঙে যায়।

৬) ফেংশুই মতে এও বলা হয়েছে অবিবাহিতদের বিছানার সামনে কোনোভাবেই যেন বাথরুম না থাকে। এছাড়া বাথরুমের দরজা সব সময় বন্ধ করে রাখতে হবে।