সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

শু’ধু কি আফ’গা’নি’স্তা’নে’র সেনা’বাহিনী’ই দু’র্ব’ল? দে’খে নিন কূট’নৈ’তিক বিশে’ষজ্ঞ’দের স’মী’ক্ষা

শুধু কি আফগানিস্তানের সেনাবাহিনীই দুর্বল? দেখে নিন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের সমীক্ষা

আফগানিস্তানে তালিবান রাজ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরপরই সারা বিশ্বজুড়ে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে। বিপুল সেনাবাহিনী বাংলা আধুনিক অস্ত্র শস্ত্র থাকা সত্ত্বেও তালিবানরা কিভাবে সম্পূর্ণ একটি রাষ্ট্র দখল করে নিল, ভেবে পাচ্ছেননা কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আফগানিস্তানের সেনাবাহিনীর দুর্বলতা কার্যত তালিবানদের পক্ষে সহায়ক হয়েছে। এমনটাই মনে করছেন তারা। তবে আফগানিস্তান শুধু একা নয়, এই বিশ্বে এমন দশটি রাষ্ট্র রয়েছে যাদের সেনাবল প্রকৃত অর্থে দুর্বল।

কোস্টারিকা: বিশ্বের এই দেশে কোনো সেনা নেই। আছেন কেবল কিছু যোগা শিক্ষক। তবে কোস্টারিকা শুধু একা নয়, আইসল্যান্ড, মোনাকো, পানামা প্রভৃতি জায়গাতেও সেনাবাহিনী নেই।

ইরাক: বিশ্বের চতুর্থ সর্বোচ্চ সেনাবাহিনীর দেশ হল ইরাক। তবে তা কেবল খাতায় কলমে। কারণ ইরাকে সেনাবাহিনীর প্রায় ৫০০০০ এরও বেশি ‘ঘোস্ট সোলজার’ রয়েছেন। যাদের নাম কেবল খাতাতে রয়েছে। কিন্তু তারা কাজে আসেন না।

উত্তর কোরিয়া: সরকারি নিয়মে বাধ্যতামূলকভাবে সেনাবাহিনীতে যোগদান করতে হয় এখানকার মানুষকে। তাই দেশের প্রতি তাদের কোনো দায়বদ্ধতা যেন নেই। অত্যাধুনিক অস্ত্র শস্ত্র থাকা সত্ত্বেও দিন প্রতিদিন দুর্বল হয়ে পড়ছে উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনী।

ইরিত্রিয়া: ইরিত্রিয়াকে “আফ্রিকার উত্তর কোরিয়া” বলা হয়। এখানেও সরকারি নির্দেশ মতো বাধ্যতামূলকভাবে সেনাবাহিনীতে যোগদান করতে হয় বলে এখানকার সেনাবাহিনীও বেশ দুর্বল।

নাইজেরিয়া: ইসলামিক বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়তে গিয়ে ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ছে এই রাষ্ট্রের সেনাবাহিনী। অত্যাধুনিক অস্ত্র শস্ত্র, আর্মার কিছুই প্রায় নেই এই রাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর হাতে।

ফিলিপিনস: উন্নত প্রযুক্তির অভাবে ধুঁকছে ফিলিপিনস। এই রাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর হাতে না আছে অত্যাধুনিক অস্ত্র শস্ত্র, না আছে যুদ্ধবিমান না আছে যুদ্ধজাহাজ। ৬০ বছরের পুরনো প্রযুক্তি ব্যবহার করে যুদ্ধ চালায় এই দেশ।

তাজাকিস্তান: এই রাষ্ট্রের নিজস্ব কোনও সেনাবাহিনী নেই। রাশিয়ান শান্তিরক্ষা বাহিনী দিয়েই কোনমতে দিন চলছে তাদের। ১৯৯৪ সালে অবশ্য নিজস্ব সেনাবাহিনী গড়ে তোলার চেষ্টা চালিয়েছিল এই দেশ। তবে তা করতে গিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছিল গৃহযুদ্ধ।

মঙ্গোলিয়া: স্থলবেষ্টিত রাষ্ট্র হওয়ার কারণে এই দেশের কোনো নৌ-বাহিনী নেই। তার উপর আবার রাশিয়া এবং চীনের মাঝে পড়ে রীতিমতো দুর্বিষহ অবস্থা মঙ্গোলিয়ার। এছাড়াও অত্যাধুনিক অস্ত্রের অভাবও রয়েছে।

সৌদি আরব: ২০১৫ সাল থেকে সৌদি আরব হাউতি উপজাতিকে বিতাড়িত করে সুন্নি শাসন প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু মার্কিন ইন্টেলিজেন্স এবং আরব আমিরশাহির সাহায্য থাকা সত্বেও বারবার ব্যর্থ হতে হচ্ছে তাদের।

আফগানিস্তান: আফগানিস্তানে সেনা বাহিনীকে মার্কিনিরা তাদের অত্যাধুনিক অস্ত্র শস্ত্র দিয়ে সাজিয়ে দিয়েছিল। তবে সেনাবাহিনীর আভ্যন্তরীণ দুর্নীতি তাদের দুর্বল করে দিয়েছে। এই মুহূর্তে বিশ্বের সব থেকে দুর্বল সেনাবাহিনী হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে আফগানিস্তান।