সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

ত্রিপুরায় প্রশান্ত কিশোরের টি’ম’কে হে’ন’স্তা, আ’ট’ক হোটেলে

এবারে তৃণমূল কংগ্রেসের পাখির চোখ হতে চলেছে ত্রিপুরা, তাই সেখানে ইতিমধ্যেই তৃণমূল নিজের দলের সংগঠন কে মজবুত করতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে। তাই এবারের একুশে জুলাই অর্থাৎ শহীদ দিবসে মমতা ব্যানার্জির বার্তা শোনানো হয় ত্রিপুরায়, দায়িত্ব নিয়েছে পিকে টিম।

২০২৩ সাল পর্যন্ত তৃণমূল তাদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে, তাই ত্রিপুরা বাসির মন বোঝার জন্য এমনকি তাদের বক্তব্য বুঝার জন্য আই প্যাক টিমের সদস্য প্রশান্ত কিশোর ত্রিপুরা পৌঁছেছেন। ইতিমধ্যে তাঁরা মঠচৌমুহনী সংলগ্ন পুরনো জেলরোডে যাওয়ার রাস্তার ধারে একটি হোটেলে উঠেছেন। গত এক সপ্তাহ ধরে তাই তারা এক সপ্তাহ ধরে সমীক্ষা চালান আগরতলা সহ গোটা রাজ্যে।

কিন্তু আচমকাই রবিবার রাত একটা থেকে পুলিশ তাদেরকে হোটেলে আটকে রেখে জেরা শুরু করে। তাদের পরিচয় জানার চেষ্টা করে কিন্তু আইপ্যাকের দলের বক্তব্য তাদের পরিচয় জানা নাম করে তাদের হয়রানি করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে জানিয়েছেন যে, পিকের টিমদের হোটেলে বন্দী করে রাখা আছে, আসলে এসমস্ত কিছুই বিজেপি দলের কারসাজি। আসলে পিকে টিম কিন্তু সমস্ত দলের সাথে কথা বলতে ত্রিপুরা এসেছেন। সেটি তারা না বুঝেই এই কর্মকাণ্ড ঘটিয়ে চলেছেন।

তিনি আরো জানান যে, এটি আসলে গণতান্ত্রিক কাঠামো কে আঘাত করা হয়েছে, যার জন্য তিনি একজন ত্রিপুরাবাসী খুবই লজ্জা বোধ করছেন। এমনকি একুশে জুলাইয়ে কৈলাস নগর যে জমায়েত হয়েছিল তাতে উপস্থিত ছিলেন আশীষ লাল সিনহা সহ আরো অনেক তৃণমূলের বর্ষিয়ান নেতারা এবং সেখানে একুশে জুলাইয়ে মমতা ব্যানার্জির বার্তা শোনানো হয়েছিল। যার ফলে বিজেপি কর্মীরা হামলা চালায় তাদের ওপর এমনকি ৮২ জনকে গ্রেপ্তার করেন ত্রিপুরা পুলিশ, যার ফলে আবারও তৃণমূলকে হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে। যা নিয়ে রাজ্য রাজনীতি তরজা আবারো তুঙ্গে।