সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

কাঠ’ফা’টা রোদের মধ্যেই অ’লৌ’কি’ক কা’ন্ড ভাতারে, হটাৎ করেই বু’ক সমান জলে ভ’রে উঠলো পুকুর

বর্ধমানের ভাতারের ভূমশোর ও বামশোর গ্রামের বাসিন্দারা এমনটাই বলছে, নেই বৃষ্টির দেখা কোথাও বিন্দুমাত্র জলের চিহ্ন নেই। কিন্তু সেখানেই থাকা এক পুকূড়ে জলে টলমল করছে। যেমন তেমন জল নয় একেবারে বুক পর্যন্ত জল।

কিন্তু এই জল এলো কোথা থেকে? ঘটনাটি ঘটেছে ভাতারের ভূমশোর ও বামশোর গ্রামের মাঝামাঝি এলাকায় অবস্থিত ঝিংকে পুকুরে। এই পুকুর নাকি এক বিঘা জমির ওপরে তৈরী। অবশ্যই মালিকানাধীন পুকুর।

এই পুকুরের কয়েক ঘর শরিক। পুকুর বাঁধাইয়ের কাজ ও সাথে পুকুর খননের কাজ চলছিল গত কয়েকদিন থেকেই। সমস।ত কিছুই ঠিক চলছিল কিন্তু ঘটনা ঘটল তখন যখন সেই পুকুর একেবারে জলে ভর্তি হয়ে গেল, কিন্তু কিভাবে ? সেই উত্তর পাওয়া যাচ্ছে না কোনোভাবেই।

আরো পড়ুন: কা’জে সাফল্য না আ’র্থি’ক সংকট? জেনে নিন মে মাস কেমন কা’ট’বে আপনার

প্রায় ২ মাস আগে পুকুরের মাটি কাটা হয়, তার পরে ৩ সপ্তাহ আগেই পুকুরের সব কাজ শেষ হয়, তারপরেই এই অলৌকিক ঘটনা।যা অবাক করছে সবাইকে। আশেপাশে নেই কোথাও জলের চিহ্নমাত্র, কিন্তু এই পুকুর ভরে গেছে জলে।

জানিয়ে উঠছে কানাঘুষো। গ্রামের মানুষ ইতিমধ্যেই এই অলৌকিক পুকুরকে দেবতার আশীর্বাদ হিসেবেই নিচ্ছে। গ্রামের বহু দূর দূরান্ত থেকে মানুষ এসে জল নেওয়ার জন্য ভিড় জমাচ্ছে। তারা মনে করছে এটি পবিত্র পুকুর ও তাঁর পবিত্র জল।

এমনকি গ্রামের মানুষের মনে করছে এই পবিত্র জল খেলেই বিভিন্ন অসুখ বিসুখ পর্যন্ত সেরে যাবে। কিন্তু বর্তমানে বিজ্ঞানের যুগে এসে এই ধরনের কুসংস্কার একেবারে মানতে নারাজ পশ্চিমবঙ্গের বিজ্ঞান মঞ্চের সদস্যরা।

পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞানমঞ্চের ভাতার ব্লক কমিটির সভাপতি সিরাজুল হক বলেন, এখানে অলৌকিক কোনো ব্যাপার ঘটে নি। আসলে দেখতে হবে পুকুরের অবস্থান। যদি ভূগর্ভস্থ জলের উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়ে থাকে তাহলে এই ধরনের ঘটনা ঘটা স্বাভাবিক।