সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

আগামী ২০-৩০ বছরের মধ্যেই বরফ প’ড়’বে কলকাতায়

আর মাত্র ২০-৩০ বছর। তারপরেই কলকাতার রাস্তা ঢেকে যেতে পারে বরফের আস্তরণে। তুষারপাত হতে পারে তিলোত্তমা কলকাতাতে। এমনই ইঙ্গিত দিলেন ভূতত্ত্ববিদ সুজীব কর। এ বছর দার্জিলিং এবং সান্দাকফুতে ভারী তুষারপাতের চিত্র দেখা গিয়েছে। সেই প্রসঙ্গ টেনে সুজীব কর বলেন, ‘এ বছর দার্জিলিং এবং সান্দাকফুতে তুষারপাত বেড়েছে। শুধু ওই এলাকা নয়, এবার মধ্য ভারতের বেশ কিছু জায়গাতেও তুষারপাত হয়েছে। ঝাড়খন্ড, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশের মতো বেশ কিছু জায়গাতেও বরফ পড়েছে। এসব অঞ্চলে আগে কখনও তুষারপাত হয়নি। পরবর্তী সময়ে আরও বেশ কিছু জায়গায় তুষারপাত ঘটবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘১৩০ কোটি বছর আগে ভারতবর্ষ বরফের চাদরে ঢাকা ছিল। শুধুমাত্র তামিলনাড়ু বাদে বাকি সমস্ত এলাকাই বরফে ঢাকা ছিল। সুতরাং অতীতে কলকাতা সহ বাংলাতেও তুষারপাতের নজির ছিল। আগামী ২০-৩০ বছরের মধ্যেই কলকাতায় বরফ পড়বে। খুব দ্রুত গতিতে জলবায়ুর এই পরিবর্তন ঘটছে। প্রথমেই এক্ষেত্রে তাপমাত্রা অনেকটা কমে যায়। এ বছর পুরুলিয়াতেও তুষারপাত হতে পারে।’

ভূতত্ত্ববিদ সুজীব কর জানান, চরম উষ্ণায়নের মধ্যে দিয়েই হিমায়নের সূচনা হয়। ১৩০ কোটি বছর আগেও তেমনটাই হয়েছিল। বিশেষজ্ঞের পূর্বাভাস, ভবিষ্যতেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে। তাঁর কথায়, ‘চরম উষ্ণায়নের মধ্যে দিয়েই হিমায়নের সূচনা হয়। অতীতেও তেমনটা হয়েছে। ভবিষ্যতেও তেমনটাই হবে। ক্লাইমেটিক সিস্টেমটা ধীরে ধীরে ক্লোজ সিস্টেমের দিকে এগোচ্ছে। অর্থাৎ জলবায়ু পরিবর্তনের যে পদ্ধতি দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল, তা শেষ হতে চলেছে কিছুদিনের মধ্যেই। এতে বাস্তুতন্ত্রই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তবে আমাদের এখানে বঙ্গোপসাগর থাকায় কিছুটা বাঁচোয়া। কারণ, সমুদ্র তাপমাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। আবহাওয়াকে উষ্ণ করে। কিন্তু, এই মুহূর্তে যে হারে জলবায়ু পরিবর্তিত হচ্ছে তাতে খুব শীঘ্রই হিমায়নের সূচনা হবে।’