গত শুক্রবার দেশের হাই কোর্ট বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ থেকে রাজ্যের নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা সরানোর নির্দেশ দেয়। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতিকে এই নির্দেশ পাঠিয়েছেন।
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় যে সব মামলার দায়িত্বে ছিলেন সেগুলির জন্য অন্য বিচারপতি নিয়োগ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।এই রায়ে স্বভাবতই হতাশ হয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। বিরাট শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা রাজ্য জুড়ে।
প্রসঙ্গত, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ২০২২ সালের ২০ মে রাজ্যের তৎকালীন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর কন্যা অঙ্কিতাকে প্রথম চাকরি থেকে বরখাস্তের নির্দেশ দেন। এর পর কম জল ঘোলা হয়নি। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের নাগপাশে আবদ্ধ হয়েছে শাসক দলের তাবড় তাবড় নেতা মন্ত্রীরা।
আরো খবর: আজ রবিবার, জানুন ছুটির দিনটি কেমন কা’ট’বে, রইলো রাশিফল (30.04.2023)
একের পর এক শুনানিতে শিক্ষক-অশিক্ষকের চাকরি খুইছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষক,নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশের শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীরা। সর্বমোট হাই কোর্টের নির্দেশে এখনো পর্যন্ত চাকরি খোয়ালেন মোট ৪,৭৮৪ জন।
২০২৩ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশে এসএসসির গ্রুপ ডি-র ১,৯১১ জন কর্মীর চাকরি যায়। গত ১০ মার্চ, শুক্রবার গ্রুপ সি’তে কর্মরত ৮৪২ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
এবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে উৎসর্গ করে তার একটি আবক্ষ মূর্তি বসানো হয়েছে বীরভূমের বোলপুরের একটি ভাস্কর্য কর্মশালায়। তবে মূর্তি নির্মাণের কাজ এখনও সম্পন্ন হয়নি।শিল্পী ঝুলন মেহেতরি এই মূর্তি তৈরির প্রধান দায়িত্ব নিয়েছেন।
ঝুলন মেহেতরী বলেছেন, “ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ছবি দেখে তার মূর্তি তৈরির কাজ চলছে। বর্তমানে রাজ্যের এক প্রতিবাদী মুখ বিচারপতি গাঙ্গুলী। তাই এই কর্মশালায় তার মূর্তি স্থাপন করা হচ্ছে।”