আজকাল আজব কত কিছুই ঘটছে এই দুনিয়ায়। সেরকমই একটা ঘটনা যা ভারতের মত জায়গায় শুনতে আজব লাগলেও সত্যি এবং বহু পুরোনো। সাধারণত আমরা দেখে থাকি বিয়ের ক্ষেত্রে এক ছেলে মেয়েরা নিজেরা জীবনসঙ্গী খুঁজে নেয় অথবা বাড়ির লোকেরা খুঁজে দেয়। কিন্তু এই জায়গার রীতি একেবারেই অন্য রকম।
বিহারের মধুবনী জেলায় নাকি বর কিনে নিয়ে যায় মেয়ে ও তার বাড়ির লোকেরা। অদ্ভুত না? কিন্তু সত্যি। প্রায় ৭০০ বছর ধরে এখানে চলে আসছে এই প্রথা। ওই জেলার সব মৈথিলী বংশের ছেলেরা আসে ওই মেলায়। লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে সেখানে বর হিসেবে। আর মেয়েদের বাড়ি থেকে পরিবারের লোকেরা আসে পছন্দমত বর খুঁজে নিতে।
শুধু তাই নয়, সেই পাত্রের জন্ম শংসা পত্র থেকে শুরু করে তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা, তাঁর পারিবারিক পরিচয়, আর্থিক যোগ্যতা সব জানা হয়। সব বিচার করে তারা বর বেছে নেয়। ওখানকার লোকেরা এই বাজারকে ‘ বরের বাজার বা সৌরথ বাজার ‘ বলে থাকে। ওখানকার লোকেদের থেকে জানা যায়, এই অদ্ভুত রীতির প্রবর্তক ছিলেন কর্নাট বংশের রাজা হরি সিং।
আরো পড়ুন: শৌ’চা’গা’রে যাওয়ার জন্য বাস থেকে লা’ফ চালকের, চালকহীন বাস ছু’ট’লো শহরে, এরপর যা হ’লো
সেই রাজার উদ্দেশ্য ছিল বিভিন্ন গোত্রের মধ্যে বিবাহের সম্পর্ক স্থাপন করা ও বিবাহে যৌতুকের মতো খারাপ প্রথাকে বন্ধ করা।
একটা পিপুল গাছের নিচে লাল ধুতি পরে সম্ভাব্য বরেরা এসে লাইন দাঁড়াবে। তবে এখন আর কেউ লাল ধুতি পরে দাঁড়ায় না। কেউ জিন্স কেউ পাঞ্জাবি বা কুর্তা পরেই আসে।
তবে এই প্রথা এখনও চলে আসছে। তবে জানা যায় যৌতুক প্রথা বন্ধ এতে হয়নি। এখনো যৌতুক নেওয়া হয়। এখানেই শেষ নয়, এই ৭০০ বছরের পুরনো প্রথাতেও বিবাহের আইনি স্বীকৃতিকরনের ব্যাবস্থা ছিল। এখন যেমন ম্যারেজ রেজিস্ট্রি করেন রেজিস্টাররা তখন ওটাকে বলা হতো ‘ পঞ্জিকর ‘।
তাদের ভূমিকাও ছিল অসামান্য। সাধারণত সৈরথ সভায় তাদের মেয়ের জন্য উপযুক্ত পাত্র পাওয়া মাত্রই বিয়ে দেওয়ার ব্যাবস্থা করেন তখন ওই পঞ্জিকর-রাই বিবাহগুলিকে আইনি স্বীকৃতি দিয়েই বিয়ে দেন।