আমার মৃত্যুতেই হয়ত খুশি হবে কিছু মানুষ, এমনটাই এবার বলল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বারাণসীর মাটিতে দাঁড়িয়ে দেশ বাসীর উদ্দেশ্যে তিনি বার্তা দিলেন, জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত আমি মানুষের সেবা করে যেতে চাই। গতকাল রবিবার বারাণসীতে দাঁড়িয়ে তিনি এই কথাই ব্যক্ত করলেন।
তবে হঠাৎ করে এই কথা বলার কারণ কি? আসলে সমাজ বাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব একটি মন্তব্য করে বসে, সেই মন্তব্যের জবাবেই প্রধানমন্ত্রী এই কথা বলেন। অখিলেশ যাদব বলেন, মানুষ আসলে জীবনের শেষ দিন কাটাতেই এই শহরে আসে। সেই মন্তব্যকে কটাক্ষ করে প্রধানমন্ত্রীর এই উক্তি।
আমরা সবাই জানি এই বারাণসী কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর লোকসভা কেন্দ্র। তিনি সেখানে দাড়িয়েই কটাক্ষের সুরে বলেন, আসলে কিছু রাজনৈতিক দল আছে, যেটা তারা নিজেদের সম্পত্তি বলেই মনে করে। তারা বিজেপির মতো দলের প্রতিযোগী হয়ে উঠতে পারবে না কখনই , এমনকি হারানো তো দূরের কথা।
আরো পড়ুন: ঠান্ডা উ’ধা’ও, শুরু হবে বৃষ্টিপাত, কেমন থা’ক’বে এই সপ্তাহের আবহাওয়া?
তিনি কটাক্ষের সুরেই বলেন, আসলে এই বারাণসীতে দাঁড়িয়ে মানুষ আমার মৃত্যু কামনা করছিল। কিন্তু আমি কিন্তু এতে খুবই খুশি হয়েছি। কারণ আমি জানি এই কাশীর মানুষ আমাকে তাদের সেবা করতে সাহায্য করবে, তারা আমার সাথেই থাকবে, পাশেই থাকবে। আমি মারা আগ পর্যন্ত মানুষের সেবা করে যেতে পারলেই বেশী খুশি হব।
বোঝাই যাচ্ছিল মোদি যে অখিলেশ যাদবের কটুক্তির উত্তর দিল সেখানে দাড়িয়েই। কারণ যখন প্রধানমন্ত্রী গত ডিসেম্বর কাশীতে এসে কাশী বিশ্বনাথের করিডর উদ্বোধন করেছিল। সেই প্রসঙ্গ টেনেই অখিলেশ যাদব বলেছিল, মানুষের শেষ সময়েই এই শহরে আসে তারা। এতে তিনি বোঝাতে চেয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী হয়তো তার জীবনের অন্তিম পর্বে পৌঁছে গেছেন।
কিন্তু প্রধানমন্ত্রী মোদী কি ছাড়ার পাত্র? সম্পূর্ণানন্দ সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মোদি বলেন, একটা সময় উত্তরপ্রদেশের সমাজবাদী পার্টির শাসনকালে সন্ত্রাস যেন একটা দৈনন্দিনের কাজে পরিণত হয়ে উঠেছিল। অবাধে তারা বিচরণ করত , তারা কোনো ভয় ছাড়াই এই কাজ করত তারা।
আরো পড়ুন: পুতিনের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষ’তি হ’বে ভারতের! কি প্র’ভা’ব পড়বে জানুন
শুধু কি তাই মন্দির লুট করতে আসত তারা বোমা বিস্ফোরণ করে। এর জন্য যে তারা কোনো উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে সেটা তারা করে নি। মোট কথা সন্ত্রাস ছড়াতে যা যা করণীয় সেটা তারা করেছে ও তাদের সন্ত্রাস ছড়াতে আরও সাহায্য করেছে।
তাই এই নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দাবি, লক্ষ্য করলেই আপনারা বুঝতে পারবেন ২০১৭ সালের আগে ৩৩ টি মেডিকেল কলেজ ছিল উত্তরপ্রদেশে, এখন সেখান সেই সংখ্যা ৬৫ তে দাঁড়িয়েছে। ১০ লক্ষের ওপরে মানুষদের পাকা ঘর তৈরী করে দেওয়া হয়েছে। লক্ষ্য করলে পার্থক্য আপনাদের চোখের সামনে।