একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে কার্যত তৃণমূলের অস্বস্তি ক্রমশ বাড়িয়ে চলেছেন মনোরঞ্জন ব্যাপারী। দলের বিরুদ্ধে একাধিক বার ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি। বিভিন্ন ইস্যুকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের বিরুদ্ধেই মন্তব্য করেছেন তৃণমূলের তরফের বলাগড়ের এই বিধায়ক। এবার নিজের মন্তব্যের জেরে আরো একবার রাজ্য শাসকদলের অভ্যন্তরের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিলেন তিনি। ফেসবুকে একটি পোস্ট করে তিনি দলকে উদ্দেশ্য করে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন।
এলাকার মানুষের সুযোগ সুবিধার জন্য গুপ্তিপাড়ায় বিধায়কের কার্যালয়ে আজ উপস্থিত থাকার কথা ছিল তার। তবে সেই কার্যালয়ে তিনি উপস্থিত ছিলেন না। বদলে কলকাতা গিয়েছিলেন তিনি। ফেসবুকে তিনি আরও লিখেছেন, এলাকার মানুষেরা তাদের প্রাপ্য পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন দলের কিছু সুবিধাবাদী মানুষের নোংরা চক্রান্তের কারণে। যারা তাকে চোর এবং ধর্ষক অপবাদ দিয়েছে।
মনোরঞ্জন ব্যাপারী আরও বলেছেন, যারা এইভাবে তাকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করছেন তারা আসলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বলাগড়ের বাসিন্দাদের অপমান করছেন। তিনি তার এই পোষ্টটিতে লিখেছেন, বন্দুক এবং রিভলভার দেখিয়ে যারা ভোট আদায় করেছেন, তাদের কোনদিনও জনগণের প্রতি কোনো দায়বদ্ধতা থাকে না। মা মাটি মানুষের ভালোবাসায় এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশীর্বাদে তিনি জয়লাভ করেছেন। তাই তিনি তার এলাকার মানুষের কাছে দায়বদ্ধ।
তার এই বন্দুক দেখিয়ে ভোট নেওয়া প্রসঙ্গেই কার্যত রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে যে কারা তাহলে রিভলবার দেখিয়ে মানুষের থেকে ভোট আদায় করলেন? এই প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে মনোরঞ্জন ব্যাপারী সাফ জবাব, বিগত দিনের পঞ্চায়েত ভোটের ইতিহাস খতিয়ে দেখলেই বেরিয়ে যাবে কারা এমন কাজ করেছেন! রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এভাবে কার্যত তৃণমুলকেই বিঁধেছেন বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক।