সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

যদি ছেলে-মেয়ের ম’ত না থাকে তাসত্ত্বেও যদি রেজিষ্ট্রি হয় সেই বি’য়ে মূল্যহীন: কলকাতা হাইকোর্ট

যেকোনো বিবাহের মূল ভিত্তি হলো রেজিস্ট্রি। সিঁদুর দান করলেই এখন কোন বিয়েতে সম্মতি দেওয়া হয় না। রেজিস্ট্রি হলে তবেই আইনগত স্বীকৃতি পায় স্বামী-স্ত্রী। কিন্তু পাত্র পাত্রীর রেজিস্ট্রি হয়ে গেলেই সে বিয়ে যে আইন স্বীকৃত তা কিন্তু নয়।

যদি দু’পক্ষের সম্মতি না থাকে তাহলে আইনের চোখে তা বিয়ে বলে গণ্য করা হবে না। সম্প্রতি একটি মামলা প্রসঙ্গে এই বিষয়টি স্পষ্ট করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।

একটি বিবাহ বিচ্ছেদের মামলায় হাইকোর্ট স্পষ্ট জানিয়েছেন, যদি কোন রেজিস্ট্রি পাত্র-পাত্রী সম্মতি ছাড়া হয় তাহলে সেই বিয়েকে আইনগত স্বীকৃতি দেবে না হাইকোর্ট।

আরো পড়ুন: কতদিন ধ’রে খাওয়া ব’ন্ধ রেখেছিলেন বরযাত্রীরা? বি’য়ে’বাড়িতে খাবারের জন্য তু’মু’ল ধস্তাধস্তি, ভাইরাল ভিডিও

সম্প্রতি যে মামলা দায়ের করা হয়েছে হাইকোর্টে সেই মামলার বয়ান অনুযায়ী, বাঁকুড়ার এক মহিলা বিবাহবিচ্ছেদের জন্য আদালতে মামলা করেছিলেন।

ওই মহিলার মত অনুযায়ী তাকে ভয় দেখিয়ে রেজিস্ট্রি করতে বাধ্য করা হয়েছিল। বিবাহ-বিচ্ছেদের মামলা করে নিম্ন আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই মহিলা। নিম্ন আদালত মহিলার পক্ষে রায় দেওয়ার পর কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মহিলার স্বামী।

জানা গেছে, কম্পিউটার সেন্টারের শিক্ষক ছিলেন ওই মহিলার স্বামী। সেই সূত্রে একে অপরের সঙ্গে প্রেমের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে পড়েছিলেন এবং তারপর ধীরে ধীরে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। অন্তরঙ্গ মুহূর্তে বেশ কিছু ছবি ওই মহিলার তুলে রেখে দেন ওই যুবক।

দুজনের মধ্যে বয়সের পার্থক্য ১০ বছর। এরপর ওই মহিলাকে সেই ছবি সকলকে দেখিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে বার বার ব্ল্যাকমেল করা হয়। তখন ওই মহিলার বয়স ছিল ১৯ বছর।

আরো পড়ুন: হেলিকপ্টার ল্যান্ডিং করার সময় ভে’ঙে পড়লো ছত্রিশগড়ে, ২ পাইলটের মৃ’ত্যু

মহিলার অভিযোগ অনুযায়ী, রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে তাকে দুটি কাগজে সই করিয়ে নেয় ওই যুবক। তারপর ওই মহিলাকে জানানো হয় যে বিয়ে হয়ে গেছে তাদের। ঘটনাটি মহিলা পরিবারের সকলকে জানানোর পর বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করা হয়।

এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি সুগত মজুমদারের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, যেহেতু ওই বিয়েতে মহিলার সম্মতি ছিল না তাই আইনের চোখে ওই বিয়ে মেনে নেওয়া হবে না। কলকাতা হাইকোর্টের এই মত অনুযায়ী খুব সহজে বিবাহ বিচ্ছেদ মামলা জিতে যায় ওই মহিলা।