সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

বিচারপতির কথায় নড়েচড়ে ব’সে’ছে CBI, প্রাইমারি বো’র্ডে’র সার্ভার রু’মে হা’না

প্রাইমারি বোর্ড এর অফিসে সিবিআইয়ের হানা। এই নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আদালত তলব করেছে জেনে নিজাম প্যালেস এর সিবিআই এর দপ্তরে পৌঁছেছিলেন রাজ্য প্রাইমারি বোর্ডের সভাপতি মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সহ সেক্রেটারি রত্না চক্রবর্তী। সিবিআইয়ের আধিকারিকরা বুধবার প্রাইমারি বোর্ডের অফিসে গিয়ে সেখানকার বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করতে থাকেন।

খবর সূত্রে জানা গিয়েছে ওই প্রাইমারি কর্নার থেকে অনেক অভিযোগ সংক্রান্ত তথ্য ইতিমধ্যেই পাওয়া গেছে। এই তথ্য উঠে এসেছে প্রাইমারি নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ের মামলা। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী উপন বিশ্বাস রঞ্জনের নাম, রঞ্জন হলো চন্দন এর আরেকটি নাম,তাঁর নামে ইতিমধ্যেই সিবিআই এফআইআর দায়ের করেছে।

সিবিআই এর পক্ষ থেকে আগামীকাল হাইকোর্টে প্রাইমারি সংক্রান্ত তদন্তের রিপোর্ট পেশ করার সম্ভাবনা রয়েছে, হাইকোর্টের তরফ থেকে ২০১৭ সালের টেট পরীক্ষার তালিকাকে বেআইনি বলে ঘোষণা করা হয়।

আরো পড়ুন: রাজ্যজুড়ে পড়ুয়াদের বি’ক্ষো’ভ! এবছর উচ্চমাধ্যমিকে সব বিষয়ে রিভিউয়ের আবেদন ক’রা যা’বে

এর পরেই আদালত সিবিআই তদন্তের কথা জানায়। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই ২৬৯ জন এর চাকরিতে বেআইনি বলে ঘোষণা করেছেন এবং তাদের বেতন ইতিমধ্যে বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

আদালতে নির্দেশের ঘোষণা শুনে সোমবার নিজাম প্ল্যালেসে উপস্থিত হন মানিক ভট্টাচার্য এবং সেক্রেটারি রত্না সেখানে কথা বলেন ইতিমধ্যে সিবিআই এর পক্ষ থেকে রত্না চক্রবর্তীর বাগচী এবং মানিক ভট্টাচার্যকে নানান রকমের জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। দুজনকে আলাদা আলাদা ঘরে বসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

২০১৭ সালের টেট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ত্রিশ লক্ষ ছিল এবং যাদের মধ্যে ২৬৯ জনকে নিয়োগ করা হয়েছে এই ২৬৯ জনের মধ্যে এমন প্রার্থী রয়েছেন যারা পাস করেনি, কিন্তু তাদের চাকরি হয়ে গেছে। প্রশ্ন উঠেছে প্রথমে বলা হয়েছিল যে ২০১৭ সালের পরীক্ষার আর শূন্যপদ নেই তবে কি করে আবার নতুন করে ২৬৯ জনকে নতুনভাবে চাকরি দেওয়া হল?