সরকারি ভাবে গাঁজা সেবন নিষিদ্ধ। কিন্তু তাতেই বা কার কি এসে যায়। সরকারি নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও তা সেভাবে কেউ মানেনা বললেই চলে। বিশেষজ্ঞদের মতে গঞ্জিকা সেবন করলে শুক্রাণুর সংখ্যা হ্রাস পায়। আর শুধু তাই নয়, গঞ্জিকা সেবনকারীর পরবর্তী প্রজন্মের ওপর এর প্রভাব পড়ে। ওয়াশিংটন স্টেট ইউনিভার্সিটির একটি সাম্প্রতিক গবেষণায় উঠে এসেছে এই তথ্য।
গবেষণা পত্রে দাবি করা হয়েছে, এ যাবৎ গঞ্জিকা সংক্রান্ত গবেষণায় ব্যবহার করা হত টেট্রাহাইড্রক্যানাবিনল বা টিসিএইচ ইনজেকশন। যা গাঁজার মূল সাইকোঅ্যাকটিভ উপাদান। কিন্তু ইঁদুরের উপর করা এই গবেষণায় ব্যবহৃত হয়েছে গাঁজার ধোঁয়া। যা মানুষের সেবন করা গাঁজার অনুরূপ।
গবেষকদের দাবি, অল্প সময়ের ব্যবহারেও গাঁজা হ্রাস করেছে ইঁদুরের শুক্রাণুর সংখ্যা। শুধু একটি প্রজন্মে নয়, পরবর্তী একটি প্রজন্মের ইঁদুরেও দেখা গিয়েছে একই সমস্যা। কাজেই গঞ্জিকা সেবনে শুধু মাদক সেবনকারী একা নন, আক্রান্ত হন তার পুত্রও। পাশাপাশি শুধু শুক্রাণুর সংখ্যা হ্রাসই নয়, গাঁজার প্রভাবে শুক্রাণুর গতিও হ্রাস পায়।
গবেষকদের মতে, শেষ কয়েক দশকে পুরুষদের শুক্রাণুর সংখ্যা বিভিন্ন কারণে প্রায় ৫৯ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। বিজ্ঞানের ভাষায় শুক্রাণুর সংখ্যা হ্রাস পাওয়াকে বলা হয় অলিগোস্পার্মিয়া। প্রতি মিলিলিটার বীর্যে দেড় কোটির কম শুক্রাণু থাকলেই তাকে বলা হষয় অলিগোস্পার্মিয়া। অলিগোস্পার্মিয়া যে কোনো কারণেই হতে পারে যেমন – মানসিক চাপ, শুক্রাশয়ের সমস্যা, বিভিন্ন যৌন রোগ, ডায়াবিটিস, ক্যানসার ইত্যাদি। এ বার সেই তালিকায় যুক্ত হল গঞ্জিকা সেবন। শুক্রাণুর সংখ্যা হ্রাস পাওয়ায় সন্তানধারণে এক বিরাট সমস্যা তৈরি হয়। সন্তান ধারণের ক্ষেত্রে যদি বাধা পান তাহলে সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া বাধ্যতামূলক।