সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

মাথায় ব’ন্দু’ক ধরলেও দু’র্নী’তি দেখলে চু’প থা’ক’বো না: বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলি

আপনারা রাজনীতির সাথে যুক্ত, সেই কারণে আপনাদের বাধ্যবাধকতা থাকতেই পারে। কিন্তু এটা মনে রাখবেন আদালতের কিন্তু বাধ্যবাধকতা নেই কোনো। আদালত কোনোভাবেই চুপ থাকবে না। মোট কথা যে দুর্নীতি করবে তাকে কোনোভাবেই ছেড়ে দেওয়া হবে না।

সে যদি কোনো রাজনৈতিক দলের হয়ে থাকে তাহলেও একই কাজ করা হবে তাঁর সাথেও। যদি আমার মাথায় বন্দুক ঠেকানো হয়। মরতে আমি রাজি, কিন্তু দুর্নীতি দেখে আমি কখনই চুপ থাকব না। কে কারকথা মনে রাখে বলো।

একদিন তো মরতেই হবে। এত কিসের শত্রুতা? কিন্তু এটা মনে রাখতেই হবে যারা দুর্নীতি করে তাঁদের সাথে শুধু শত্রুতার সম্পর্কই থাকতে পারে।

আরো পড়ুন: হাঁসখালি কা’ন্ড নিয়ে নাম না করে মমতাকে ব্য’ঙ্গ রুদ্রনীলের

শুধু পশ্চিমবঙ্গে নয় সারা দেশে দুর্নীতি হয়ে চলেছে, কিন্তু আমাদের থেমে থাকলে চলবে না। লড়াই চালাতে আমাদের হবেই।
এদিকে আবার মঙ্গলবার ও বুধবার দারুণ বাকবিতণ্ডায় জড়ায় দুই রাজনৈতিক দলের আইনজীবীরা। এমন অবস্থা হয় যে তারা শেষ পর্যন্ত হাতাহাতিতে পৌছে যায়।

বিচারপতি অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের এজলাসে ১৭ নম্বরের সামনেই এই গন্ডোগোল বাঁধে। এই গণ্ডগোলের মধ্যে বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য অসুস্থ বোধ করে, আর ঠিক এই সময়ে সবাইকে শান্ত থাকার পরামর্শ দেয় বিচারপতি। আর তিনি জানায়, আমার আদালত নিয়ে আপনাদের কি সমস্যা?

এদিকে এই কথার পরেই তৃণমূলের আইনজীবীরা জানায়, আদালত নিয়ে কোনো ধরনের সমস্যা নেই আমাদের। কিন্তু বার যখন সিদ্ধান্ত নিয়ে কোর্টের কাজ হবে না। তাই আমরা সেটার পক্ষে। তবে এই কথার বিরোধিতা করতে দেখা য্যা বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য্যকে।

তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে এভাবে কোর্টের কাজে কোনোভাবেই বাধা দেওয়া যাবে না। শেষে বিচারপতি বলেন, যারা কাজ করবেন না, তারা কোর্ট্রুম খালি করে দিন। এজলাসে থাকার অধিকার যেমন সবার রয়েছে তেমন ভাবে বাধা দেওয়ার অধিকার কারও নেই।