সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

হাঁসখালি কা’ন্ড নিয়ে নাম না করে মমতাকে ব্য’ঙ্গ রুদ্রনীলের

তিনি যদি বলেন ছোট ঘটনা তাহলে চপে যাও সব রটনা, এটাই কবিতার মূল বিষয় বস্তু। আমরা সবাই জানি রুদ্রনীল কতটা ভালো একজন অভিনেতা। তিনি হয়ত ছিল শাসক দলের শিবিরে কিন্তু বিধান সভার আগেই তিনি এসে গেছে বিরোধী শিবিরে। তাঁর প্রতিবাদের সুর অনেকটাই মিষ্টি। যেন মিষ্টি কথায় জুতোর বাড়ির।

প্রত্যেকবারের ন্যায় এবারও তিনি গান বেঁধেছেন, আর সেখানেই তাঁর কেরামতি। একটাও কটু বাক্য না ঝেড়ে একেবারে ব্যাঙ্গের সুরে নিন্দা করেছেন শাসক দলের। আর এই নিশানা যে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করেই সেটা বুঝতে বাকী থাকেনি কারও। তিনি তাঁর কবিতায় বলেছেন, ‘‘খবর দেখো না তুমি সব জেনে যাবে, সিরিয়াল দেখো তুমি শান্তি তো পাবে!’

মোট কথা যদি রাজ্যের ভালো ভালো খবর দেখানো হয় তাহলেই মিলবে ভালো ভালো বিজ্ঞাপন, এমনকি মিলবে সরকারী অনুদানও। সেই সব তাঁর মুখে শোনা গেছে। এখানেই কিন্তু তাঁর কটাক্ষ শেষ হয় নি। তিনি আরও বলেন,‘‘তিনি মানে সব ঠিক তিনি মানে ভাল, তিনি যদি বলে দেন সাদা হয় কালো!’’

আরো পড়ুন: চাঞ্চল্যকর! জঙ্গলে ঢুকে গোসাপকে ‘গ’ণ’ধ’র্ষ’ণ’, গ্রে’ফ’তা’র ৪ যুবক

ব্যঙ্গবিদ্রূপের কোনও দিক তিনি ছেড়ে দেয় নি। আনিস খান থেকে শুরু করে, বগটুই, এবার আবার হাস খালি একের পর এক মায়ের কোল খালি হয়ে যাচ্ছে তবুও হুশ নেই তিনির, এই কথাও শোনা যায় তাঁর কবিতায়। সিবি আই থেকে শুরু করে সব কিছুই নাকি বিরোধীর ষড়যন্ত্র , বাংলায় কোথায় কি হচ্ছে সবই হচ্ছে কোরিয়ায়।

তাঁর কবিতার লাইন সেজে উঠেছে এই সব লাইনে। দারুণ ভাইরাল হয়েছে এই ভিডিও। তবে তাঁর অনুমাধব কবিতার রেশ এখনও কাটে নি। কিন্তু এদিকে আবার মদন মিত্র নীল ষষ্ঠীর ব্রতকে সামনে রেখে রুদ্রনীলকে নিশানা করেছেন।

কিন্তু রুদ্রনীল কি চুপ করার পাত্র? তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, আমি যে শাসক দলকে বিধেছি তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তাই আমাকে থামাতে বাহিনী নামানো হয়েছে। গত ১৪ মাস ভাতে মারার ফন্দি করা হয়েছে, কিন্তু ভালো লাগছে অন্তত আমাকে দেখে অনেকে কবিতা লিখতে শিখছেন।