সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

আদালতের বা’ই’রে গেলেই আমাকে মে’রে ফে’লা হ’বে, যোগীরাজ্যে কা’ন্না’কা’টি গ্যাংস্টারের

যোগীর ভয়ে কান্নাকাটি করল কুখ্যাত গ্যাংস্টার মুক্তার আনসারী। এখন মুক্তার আনসারী ভুয়ো এম্বুলেন্স কাণ্ডের জেরে জেলে রয়েছে। মুখতার আনসারী উত্তরপ্রদেশে অবৈধ কবজা করার জন্যেও কুখ্যাত। যদিও বর্তমানে ইউপি সরকার তার সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্তে করেছে। তবে বর্তমানে মুক্তার আনসারীর অবস্থা বর্তমানে শুকনো পাতার মতো হয়ে পড়েছে। যার প্রমান আদালতের কাছে আনসারির আর্জি শোনার স্পষ্ট পাওয়া গেছে। আসলে আনসারী মহামান্য বিচারপতির কাছে আর্জি রেখেছেন যে তাকে যেন সরাসরি আদালতে পেশ না করা হয়। যদি এমনটা করা হয় তাহলে রাস্তায় তাকে মেরে ফেলা হতে পারে।

উত্তরপ্রদেশ ও বিহারের রাজনীতিতে বাহুবলিদের প্রভাব বহু দশক ধরে চলে আসছে। এক সময় গুন্ডারাজ চালিয়ে এলকায় নিজের প্রভাব খাটিয়ে ভোট করানোর জন্য কুখ্যাত হয়ে উঠেছিল এই গ্যাংস্টাররা। যে কোনো পার্টির যে কোনো নেতাকে জেতাতে হলে টাকা ঢালতে হতো এই গ্যাংস্টারদের কাছে। আর তারপরেই হতো খেলা শুরু, মানুষজনকে ভয় দেখিয়ে চলতো ভোট লুট।

পরে যোগী সরকার আসার পর থেকে উত্তরপ্রদেশে গুন্ডারাজ ও মাফিয়াদের উপর লাগাম পড়তে শুরু হয়েছে। যোগী সরকার কখনো কোনো মাফিয়ার সম্পত্তি বাজেয়াপ্তে কতে আবার কখনো কারোর অবৈধ বহুতলে বুলডজার চালিয়ে দেয়। অন্যদিকে বহু বাহুবলি মাফিয়াকে এনকাউন্টার করেছে ইউপি পুলিশ। উত্তরপ্রদেশে এমনও ছবি চোখে পড়েছে যখন মাফিয়ারা প্রশাসনের ভয়ে নিজে থেকে আত্মসমর্পণ করেছে।

এমন এই মাফিয়া মুখতার আনসারী এখন জেলে বন্দি, যে ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে আদালতের সমানে হাজিরা দিয়েছিল। সেখানে বিচারপতি আনসারীকে সরাসরি আদালতে পেশ করার প্রসঙ্গ তুললে ঘাবড়ে যায় মুখতার আনসারী। বিচারপতিকে কাঁদো কাঁদো হয়ে আনসারী বলে,”আমাকে সরাসরি আদালতে যেন পেশ করা না হয়, নাহলে সরকার আমাকে রাস্তায় মেরে ফেলতে পারে।”