আমাদের বাংলা ইন্ডাস্ট্রিই বলুন কি হিন্দি ইন্ডাস্ট্রি এই শুটিং চত্বরের অনেক ছোট বড় গল্প থাকে। যা বিভিন্ন অভিনেতা ও অভিনেত্রীদের বা পরিচালকদের মুখ থেকেই আমরা জানতে পারি। অনেক মজার মজার কাণ্ডও ঘটে এই শুটিংয়ের মধ্যেই। আমরা সকলেই আমাদের ঘরের ছেলে মিঠুন চক্রবর্তীকে সকলেই চিনি।
তাঁর খুনসুটির অনেক ঝলকও আমরা বিভিন্ন রিয়ালিটি শো তে দেখেছি। ঠিক সেরকমই তিনি তার অভিনেত্রীদের সাথেও খুব মজা করতেন। সাথে পর উপকারিও ছিলেন। সত্তর – আশির দশকে যে সকল অভিনেত্রীদের সাথে তিনি কাজ করেছেন তার মধ্যে অন্যতম হলেন পদ্মিনী কলাপুরি।
তাদের মধ্যে দারুণ বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল। সেই বন্ধুত্বের গভীরতা যে কতখানি ছিল সম্প্রতি তা প্রকাশ্যে এনেছিলেন পদ্মিনী।পদ্মিনী জানান, ১৯৮৬ সালে পদ্মিনী কোলাপুরি বিয়ে করেন। তার প্রেমিক তথা বলিউড প্রযোজক প্রদীপ শর্মার সাথে।
তবে পদ্মিনী জানিয়েছেন মিঠুন না থাকলে তাদের বিয়েটাই নাকি হত না। বান্ধবীর জন্য সেদিন শুটিং সেটে একেবারে সিনেমার মত অসুস্থ হওয়ার দারুণ অভিনয় করেছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী।
আরো খবর: বি’রা’ট সুখবর আপনার জন্য! সোনার দা’ম ১৮০০০ টা’কা কমলো
শুটিং সেটে তিনি পেটে ব্যথার এমন অভিনয় করেন যে পদ্মিনী সেদিন দ্রুত সেট থেকে বেরিয়ে বিয়েটা সেরে এসেছিলেন। আর সেটে সেটা কেউ বুঝতেই পারেনি তার অভিনয় এতটাই নিখুঁত। শুধু তাই নয়, এই অভিনয় পদ্মিনী ফিরে আসার আগের মুহুর্ত অব্দি চালিয়ে গেছেন। আর মিঠুনের এই কীর্তি প্রায় ৩৩ বছর পর তিনি ফাঁস করে দিলেন সর্বসমক্ষে।
সেটে যে তারা কেমন খুনসুটি করতেন সেই কথাও তিনি তুলে ধরেন এক রিয়েলিটি শোয়ের মঞ্চে এসে। আমাদের মিঠুন দা যেহেতু বাঙালি তাই একটু আধটু কুসংস্কার মেনে চলতেন। আর সেটা নিয়েও পদ্মিনী ভীষন মজা করতেন বলে জানা যায়। মিঠুন দা একবার নিজেই বলেন পদ্মিনী নাকি সেটে সবার সামনে তাকে সমানে এক চোখ দেখাতেন।
মিঠুন বিশ্বাস করতেন এক চোখ দেখালে ঝগড়া হয়। বাঙালিরা এমনিতেই এক চোখ নিয়ে কুসংস্কারে ভোগে। পদ্মিনী সেটা জানতেন। সেই কারণেই তিনি ইচ্ছে করে মিঠুনের সামনে বারবার এক চোখ রগড়াতেন।
ফলে শুটিং সেটেই তাদের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়ে যেত। তাঁদের সম্পর্ক মজা ও খুনসুটির মধ্যে দিয়ে থাকলেও তারা একে অপরের খুব ভালো বন্ধু ছিলেন সেটাও জানা যায় তাদের কথা থেকেই।