সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

বউকে মি’থ্যা ক’থা বলে প্রেমিকার সঙ্গে দীঘার হোটেলে রাত কা’টা’নো’র ই’চ্ছে! যা হলো যুবকের

স্ত্রীকে মিথ্যে কথা বলে প্রেমিকাকে নিয়ে দিঘায় বেড়াতে গিয়েছিলেন হুগলির ডানকুনি থানার গোকুলধাম দিল্লি রোডের বাসিন্দা রাম উপাধ্যায়। কিন্তু সেই ঘুরতে যাওয়াই যে একেবারের জন্য পৃথিবী থেকেই চলে যাওয়া তা হয়তো দুঃস্বপ্নেও কল্পনা করেননি ওই ব্যক্তি। তিনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী।

দিঘায় গিয়ে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়েছে তার। তার জেরে প্রেমিকাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে এবং তদন্তও শুরু হয়ছে। তবে কীভাবে ওই যুবকের মৃত্যু হল, তা এখনও অজানা। জানা যাচ্ছে, রবিবার প্রেমিকা মালা ঘোষকে নিয়ে দিঘা যান ওই যুবক। বাড়িতে রয়েছে স্ত্রী ও সন্তান।

প্রেমিকা মালা ঘোষকে স্ত্রীয়ের পরিচয় দিয়ে নিউ দিঘার একটি বেসরকারি হোটেলে উঠেছিলেন ওই ব্যক্তি। রবিবার সন্ধেয় ঘুরতেও বেরিয়েছিলেন। রাতে রুমে ফিরে আসেন। খাওয়া দাওয়া করেন, পাশাপাশি মদ্যপানও চলে। এ প্রসঙ্গে মালা বলেছেন, এরপর দু’জনের মধ্যে ব্যাপক ঝামেলা হয়।

আরো পড়ুন: গ্রাহকের নম্বর ব’ন্ধ করার অভিযোগ Vodafon-র বি’রু’দ্ধে, জ’রি’মা’না ৫০ হাজার টা’কা

বেশ কিছুক্ষণ ব্যালকনিতে বসে থাকার পর মালা যখন ঘরে ঢোকেন, তখন দেখেন গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছে রাম। কিন্তু মালা নাকি ব্যাপারটাকে সিরিয়াসলি নেননি, তিনি ভেবেছিলেন প্রেমিক মজা করছে। সেই কারণে রামের গলার ফাঁস খুলে তিনি তাঁকে বিছানায় শুইয়ে দেন। সোমবার সকালে তিনি বুঝতে পারেন, রামের কোনও সাড়াশব্দ নেই। এরপরই হোটেলে জানান তিনি।

খবর দেওয়া হয় পুলিশে। তারা দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। পুলিশ সূত্রে খবর, বারাসতের বাসিন্দা মালা দীর্ঘদিন ধরেই রামের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে আবদ্ধ রয়েছেন। এদিকে রামের অবৈধ যে প্রেমিকার কথা জানতেন না তাঁর স্ত্রী। কাজে দূরে যাচ্ছেন এই মিথ্যা কথা বলে তিনি বাড়ি থেকে বেড়িয়েছিলেন।

রবিবারই তাঁর ফেরার কথা ছিল। অনেক রাত হয়ে গেলে স্বামী ফিরছে না দেখে স্ত্রী ফোন করেন। সেই সময় রাম জানিয়েছিল গাড়ি খারাপ হয়ে গিয়েছে, ফিরতে দেরি হবে। সোমবার সকালে স্বামী না ফেরায় তিনি আবার ফোন করতে মালা ফোন ধরেন এবং জানান রাম মৃত।

আরো পড়ুন: রাশিয়ার উপর থে’কে নিষেধাজ্ঞা তু’লে নেওয়া হতে পারে! হটাৎ করেই সু’র ন’র’ম বাইডেনের

তবে ঘটনাটি যে সহজ নয় তা আন্দাজ করতে পারছে পুলিশ। উঠে আসছে অসংখ্য প্রশ্ন। মালাদেবীর দাবি অনুয়ায়ী সেদিন রাতে তাদের ঝামেলা হয়েছিল। কিন্তু কী এমন ঝামেলা হয়েছিল, যার জেরে গলায় ফাঁস দিতে হল রামকে? গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থা থেকে মানুষ মৃত না জীবিত তাও বুঝতে পারলেন না মালা?

প্রেমিক নিছক মজা করছে ভেবে বিছানায় তাকে শুইয়ে নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে পড়লেন! এও কি সম্ভব?নাকি ঘটনার পিছনে অন্য রহস্য আছে? পুলিশ তদন্ত চালাচ্ছে, তবে মালাদেবী এও দাবি করেছেন, দুজনই মদ্যপ থাকার কারণে কোনো কোনোকিছু বুঝতে পারেননি তিনি।