সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

হিন্দু বলেই মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে আমাকে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে, অ’ভি’যো’গ কংগ্রেস নেতার

কেবলমাত্র হিন্দু বলেই আমার নাম মুখ্যমন্ত্রী পদের থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমনই এক ভয়ঙ্কর অভিযোগ করলো বয়স্ক কংগ্রেস নেতা। আর বেশিদিন নেই পাঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনের, একেবারেই দরজায় কড়া নাড়ছে বিধানসভা নির্বাচন। ঠিক এর আগেই কংগ্রেস দলের ওপর এমন অভিযোগ, তাও আবার বয়স্ক কংগ্রেস নেতার তরফ থেকে। সত্যিই অনেকটা চাপের মুখে কংগ্রেস দল। কংগ্রেসের তরফ থেকে এখনো মুখ্যমন্ত্রী পদের নাম ঘোষণা করা হয়নি, ঠিক তার আগেই ধর্মীয় ভেদাভেদ নিয়ে কংগ্রেসের ওপর এত বড় অভিযোগ আনল তাদেরই বয়স্ক নেতা।

সুনীল জাখর নামে এই নেতা অভিযোগ করেছেন, দিল্লীতে বসে থেকে কংগ্রেস নেতারা পাঞ্জাবের জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে? তার এই প্রশ্ন সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন তিনি। সাথে আরও বলেছেন, দিল্লিতে বসে থেকে কংগ্রেস নেতারা মনে করছেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে, একজন শিখই উপযুক্ত হবেন। কিন্তু এটা ভুলে গেলে চলবে না পাঞ্জাব একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাজ্য। আমি তাদের এই মতামত মেনে নিতাম যদি আমাকে আগেই বলা হত, বিধায়ক নাহলে মুখ্যমন্ত্রী পদের যোগ্য হওয়া যাবে না। কিন্তু ধর্মীয় কারণে, আমি একজন পাঞ্জাবী হিন্দু হওয়ার কারণে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে দলের তরফ থেকে। যা দেখে আমি খুবই মর্মাহত।

এই প্রসঙ্গের সূত্র ধরেই, সুনীল জাখর আরো বোমা ফাঁটান দলের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার নিয়ে। তিনি জানান অমরিন্দর সিং এর সাথে দলের অভ্যন্তরীণ ঝামেলা হয়। যার কারণে তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদ ও দল দুটোই ছেড়ে দেন। এই ঝামেলার কারণ নভজৎ সিং সিধুর কারণেই হয় বলে জানান তিনি। কিন্তু তার পদত্যাগের পর দলের 42 জন বিধায়ক মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে সুনীল জাখরকেই চান। কিন্তু তার দাবি অনুযায়ী তিনি হিন্দু পাঞ্জাবি বলে তাকে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়।