সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

আমি মন্ত্রীর ভাগ্নে! সমস্ত সু’বি’ধে নি’তে সরকারি অফিসে তা’ন্ড’ব, অফিসারকে মা’র’ধ’র

রাজ্যের মন্ত্রীর ভাগ্নে হওয়ার সুযোগ নিতে চেয়েছিলেন তিনি। অফিসে এসে কোনো কাজ না করে পায়ের উপর পা তুলে বসে থেকে মোবাইল গেম খেলায় ব্যস্ত থাকতেন রাজ্যের মৎস মন্ত্রী অখিল গিরির ভাগ্নে সুমন মাইতি। দেরি করে অফিসে আসা, কোন কাজ না করা, সারাদিন পায়ের উপর পা তুলে বসে থেকে মোবাইল গেম খেলা এবং কিছু বলতে গেলেই ‘মন্ত্রীর ভাগ্নে’র পরিচয় খাটানোতে এমনিতেই অফিসের সহকর্মীরা তার প্রতি ক্ষুব্ধ ছিলেন।

তবে এতকিছু সুবিধা গ্রহণের পরেও সম্প্রতি অফিসে ঢুকে রীতিমতো তাণ্ডব চালালেন ওই মন্ত্রীর ভাগ্নে। অফিসের কর্মচারীদের মারধর করার পাশাপাশি কম্পিটার, কাগজপত্র, আসবাবপত্র ভাঙচুর করেন তিনি। তার প্রতিবাদস্বরূপ নিরাপত্তাজনিত কারনে কৃষি আধিকারিক ও অফিসের কর্মচারীরা গতকাল কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিলেন। যে কারণে অন্যান্য দিনের মতো গতকাল সাধারণ মানুষ ওই দপ্তরে পরিষেবা নিতে এসে ফিরে যান।

ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষেরাও বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। খবর পেয়ে দেশপ্রান পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি তরুন কুমার জানা, বিডিও শুভজিৎ জানা, কাঁথি থানার আই.সি অফিসে এসে আধিকারিক ও কর্মচারিদের নিরাপত্তার আশ্বাস দিলে তবেই অফিসের কাজকর্ম আবার শুরু হয়। তবে সমস্যার সমাধান হয়েছিল সাময়িকভাবে। কারণ ওই দিন ঠিক বিকেল তিনটের দিকে আবার অফিসে চড়াও হন ওই যুবক।

অভিযোগ, অফিসে এসেই ফের কৃষি আধিকারিকের ওপর চড়াও হয়ে তার মুখে, গালে এলোপাধাড়ি ঘুষি মারতে থাকেন, জামা ছিঁড়ে দেন, কম্পিউটার ভাঙেন, ফাইল তছনছ করে দিয়ে যান। অফিসের অন্যান্য কর্মচারী এবং সাধারন উপভোক্তারা এসে কোনক্রমে তাকে প্রাণে বাঁচান। আবারো ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন দেশপ্রান পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি তরুন কুমার জানা, বিডিও। তারা এসে কৃষি আধিকারিককে কাথি মহকুমা হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। এর পরেই ওই যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ সম্পর্কে ওই যুবকের মামা মন্ত্রী অখিল গিরিকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন ধৃত তার ভাগ্নে হলেও আইন আইনের মতই চলবে।