বিশ্ব বিখ্যাত বিজ্ঞানী এবং পদার্থবিদ আইজ্যাক নিউটন ভবিষ্যৎবাণী করে বলেছিলেন 2060 সালের মধ্যে পৃথিবী নাকি ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। তিনি 1704 সালে এই ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন।
কিছু গাণিতিক সমীকরণের সমাধানের মাধ্যমে এই হিসেবে করেছিলেন আইজ্যাক নিউটন। বুক অফ রিভিলেশন বা বাইবেলের বিভিন্ন লেখা নিয়ে গবেষণা করে তিনি এই সিদ্ধান্তে পৌঁছান।
সম্প্রতি নিউ ইয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্যালাটিন স্কুল অফ ইন্ডিভিজুয়াল স্টাডিজের একজন অধ্যাপক দাবি করলেন আধুনিক পদার্থবিদ্যার ভিত্তি স্থাপন এবং জ্যোতির্বিদ্যার পথিকৃৎ হয়ে ওঠা নিউটনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নয়।
তিনি আসলে প্রাচীন ধর্ম গ্রন্থের পাঠোদ্ধার করে খ্রিস্টধর্মের সত্য প্রকৃতি তুলে ধরার দিকে দৃষ্টি দিয়েছিলেন। পৃথিবী কবে ধ্বংস হবে সেই নিয়ে বিগত 300 বছরে ধর্মীয় নেতারা অনেক অনুমান করেন।
আরো পড়ুন: গরুপাচার কা’ণ্ডে রক্ষাকবচের আবেদন খা’রি’জ, এবার কি করবেন অনুব্রত?
বর্তমানে বিজ্ঞানীরাও মেনে নিচ্ছেন এই কথা। বর্তমান জনসংখ্যা এবং সম্পত্তি, জলবায়ু পরিবর্তন এবং পৃথিবীতে টেকসই ক্ষমতার উপর গবেষণা চালিয়ে তারা বিভিন্ন সিদ্ধান্তে আসছেন।
বিজ্ঞানীদের দাবি, পৃথিবীতে বাড়তি উৎপাদন এবং অতিরিক্ত ভোগের ফলাফল হিসেবে মহামারী হানা দিচ্ছে। ধর্মীয় নেতারা একে ঈশ্বরের শাস্তি বলে বিবেচনা করতেন। এমআইটির একটি কম্পিউটার প্রোগ্রামের হিসেব বলছে আগামী কুড়ি বছরের মধ্যে পৃথিবীর সভ্যতা ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাবে।
ষাটের দশকের শেষের দিকে বিত্তবান শিল্পপতি এবং বিজ্ঞানীদের নিয়ে গঠিত একটি এলিট সোসাইটি গড়ে তোলা হয়েছিল যারা একবিংশ শতাব্দীর শুরুতেই পৃথিবী ধ্বংসের আভাস দিয়েছেন। 300 বছর আগে নিউটন যে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, বর্তমানের এই কম্পিউটার প্রোগ্রামিং থেকেও একই কথা জানা যাচ্ছে।