ঘর সাজাতে কে না পছন্দ করেন বলুনতো! সকলেরই ইচ্ছা থাকে মনের মতো করে ঘর সাজানোর। কিন্তু অনেক সময় মনের ইচ্ছা থাকলেও পকেট কথা শোনে না। তাই তখন ঘর সাজানোর ইচ্ছাকে মনেই চেপে রেখে পিছিয়ে আসতে হয়। তবে আর নেই চিন্তা। আপনাদের এহেন সমস্যার সমাধান করতে চলে এসেছেন স্বয়ং অক্ষয় পত্নী টুইঙ্কেল খান্না।
বলিউড থেকে বহুদিন বিদায় নিলেও তার জনপ্রিয়তা এখনও চোখে পড়ার মতো। বর্তমানে একজন বিখ্যাত ব্লগার হওয়ার দরুন ইউটিউবে নিজস্ব চ্যানেল তৈরী করেছেন টুইঙ্কেল। টুইঙ্কলের ইউটিউব চ্যানেলের নাম টুইক ইন্ডিয়া। এই ইউটিউব চ্যানেলে তিনি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন।
সেই সাথে রাজেশ খান্নার কন্যা টুইঙ্কেল সকলের সুবিধার্থে নানান দরকারি টিপস মাঝেমধ্যেই শেয়ার করে থাকেন। এমনকি বিভিন্ন জায়গায় লেখালেখি করে তার খ্যাতি আরও অনেক বেড়েছে। সম্প্রতি তার ইউটিউব চ্যানেলে DIY ডিজাইন সিরিজ স্পেসলিফ্টে টুইঙ্কল খান্না একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন।
আরো পড়ুন: অবিশ্বাস্য, ১০০ মিটার দৌড়ে সোনা জি’ত’লে’ন ১০৫ বয়সী বৃ’দ্ধা, দেখুন ভিডিও
সেখানে দেখানো হয়েছে কিভাবে কম খরচে বাড়ির মাস্টার বেডরুম, বারান্দা এমনকি গেস্ট রুমটাকে সাজানো যায়। এ বিষয়ে নানান গুরুত্বপূর্ণ টিপস এবং আইডিয়া তিনি সকলের সাথে শেয়ার করে নিয়েছেন।
এই নতুন ভিডিওতে বাড়ির মাস্টার বেডরুমটিকে কিভাবে ‘শান্তির মরুদ্দ্যান’ করে তোলা যায় সেই বিষয়ে টিপস নিয়ে হাজির হয়েছেন টুইঙ্কল খান্না।
টুইঙ্কেলের কথায়, মাত্র ৩৫০০ টাকাতেই একটা সুন্দর এবং শান্তিপূর্ণ বেডরুম পাওয়া যেতে পারে। তার কথায়, ‘এত ব্যস্ততার মাঝে প্রত্যেক দিন ঘর গুছানো সবার পক্ষে সম্ভবপর হয় না, আর তা খুবই স্বাভাবিক।
তাই বাড়ির সাজসজ্জাকে পরিপাটি করে তুলতে হলে প্রথমে মাস্টার বেডরুমটিকে একটি প্রাইভেট স্যাংচুয়ারিতে পরিণত করে ফেলতে হবে। আর তার জন্য প্রথমেই প্রয়োজন একটি বেশ ভালো মানের গদি।
গদি কেনার ক্ষেত্রে সবসময় ভালো ঘুমের কথা মাথায় রাখতেই হবে। তাই বুঝেশুনে বিনিয়োগ করতে হবে। খরচ কমাতে প্রয়োজনে নিজের হাতে বা স্থানীয় কাঠমিস্ত্রির সাহায্য নিয়ে একটি হেডবোর্ড তৈরি করে ফেলতে হবে।
বাড়কে নিজের ইচ্ছামতো কিভাবে মেকওভার করে সকলকে চমকে দেবেন সেই সম্পর্কিত টুকিটাকি টিপস নিয়ে এই ভিডিওটি ছিল তার বেডরুম মেকওভার সিরিজের তৃতীয় পর্ব।
এছাড়া টুইঙ্কল জানিয়েছেন তিনি সব সময় তার বিছানার পাশে এক জগ জল রাখা পছন্দ করেন। আর তিনিই বেশি জল পান করেন বলে রাতে তাকে বেশ কয়েকবার বাথরুমেও যেতে হয়। এভাবে যখন অন্যরা ঘুমোয় তখন তিনি তার ২০০০ ধাপ হাঁটা শেষ করে ফেলেন। কি বুদ্ধি ভাবুন তো!