গত ডিসেম্বর মাসে একটি খবর দারুন আলোড়ন ফেলেছিল। হাওড়ার নিশ্চিন্দার দুই গৃহবধূ রিয়া এবং অন্যনা পালিয়ে গিয়েছিল রাজমিস্ত্রির সাথে।তবে এখন সেই রাজমিস্ত্রি হাত ছেড়ে দিয়েছে দাদা।
এখন অবশ্য গৃহবধূদের সঙ্গে খবর নেই তাদের, তাহলে কি রাজমিস্ত্রি বলেই হাত ছেড়ে ছিল তারা? কিন্তু এখন উন্নতি করার জন্য দারুণ মরিয়া রাজমিস্ত্রি শুভজিৎ। এখন অবশ্য রাজমিস্ত্রি নেই আর। সে এখন নামী বিড়ি কোম্পানির একজন কর্মী।
PF, বোনাস, মেডিক্যাল ইন্সুরেন্স সর্বোপরি মোটা মাইনে সবকিছুই আছে। কিন্তু তার মনে আক্ষেপ রয়েছে একটাই, সত্যি তার মন উতলা হয়ে ওঠে রিয়ার জন্য। তবে ঘটনার পর তাদের জীবন কিন্তু একেবারে পরিবর্তন হয়ে গিয়েছ। এখনো পর্যন্ত তাদের কোর্ট কাছারির চক্কর খেতেই হচ্ছে।
আরো পড়ুন: উত্তরবঙ্গ থেকে সরাসরি বাংলাদেশ, চা’লু নতুন ট্রেন রুট
কিন্তু সেই দুই মিস্ত্রি যাদের জন্য প্রেম নিবেদন করেছিল, তারা কিন্তু তাদের সাথে কোনো সম্পর্কই রাখেননি। মাত্র দু’মাস আমাদের জীবন একেবারে পাল্টে গিয়েছে।
কিন্তু রিয়ার জন্য কিছু করতে চেয়েছিল শুভজিৎ। সে বলে, এই ঘটনার পর আর কেউ রাজমিস্ত্রীর কাজ দিত না। কিন্তু, জীবনে উন্নতি করব ঠিক করে নিয়েছিলাম।
একটা বিড়ির কোম্পানীতে ভালো বেতনে কাজ করি। অনেক সুযোগ সুবিধা রয়েছে-PF রয়েছে, বোনাস পাই। আগের থেকে অনেক ভালো রোজগার।
কিন্তু মনের মধ্যে একটা যন্ত্রণা রয়ে গেছে, ওর নতুন নাম্বার তো আমার কাছে নেই। ও এখন ওর মায়ের বাড়িতেই থাকে। ওদের বাড়ির পাশেই আমাদের একটি গ্রামের ছেলে কাজ করে।
ওর কাছ থেকেই খবর পেয়েছি, সে ঘুরে বেড়ায় কিন্তু আমার সাথে যোগাযোগ করে না। তার পরিবার তাকে মেনে নেবে।এদিকে আবার শেখর নামের ছেলেটি রাজমিস্ত্রির কাজেই যুক্ত রয়েছে , সে বলেছে অনন্যা নাকি ৪ টি সিম বদলেছে তার জন্য।
তাকে সে দারুণ ভালোবেসে ফেলেছে। মন এখনও অস্হির হয়ে ওঠে ওর জন্য।ওর সাথে যোগাযোগ করতে ইচ্ছে করে। সত্যি খুব ভালো বেসে ফেলেছি।
