ভারত ও তার সাথে সংগীত একেবারে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। একেবারেই প্রাচীনকাল থেকে সঙ্গীত শাস্ত্রে ভারতের নাম উজ্জ্বল হয়ে রয়েছে। ভারত এমন একটি দেশ যেখানে সংগীতকে একটা আলাদা উচ্চতা দেওয়া হয়, ভারতবাসীরা সকলেই সংগীত প্রিয় মানুষ। তাই যারা সুর চর্চায় মগ্ন থাকে, তাদের সকলকেই ভগবানের দরজা দেওয়া হয়।
সংগীত সুর একটি জিনিস যা মানুষের দুঃখ কষ্ট দিয়ে সহজেই লাঘব করে দিতে পারে। প্রেমিক প্রেমিকার ঝগড়া মুছে দিতে পারে নিমিষেই।বিরহ যন্ত্রণা একেবারেই কম করে দেওয়ার ক্ষমতা আছে এই সুরের, গানের। সময়ের সাথে সাথে ভারতীয় সংগীতের এতটাই উন্নতি ঘটেছে যেখানে, ছোট থেকে বড় সবাই গান শোনার জন্য একপায়ে খাড়া।
গায়ক গায়িকার কণ্ঠের জাদুতে একেবারে মোহিত থাকে শ্রোতারা। যদি বর্তমান সময়ের গায়ক-গায়িকাদের কথা বলা যায়, লক্ষ করা যাবে তারা স্টেজ পারফরম্যান্স মাতিয়ে তোলে। সেইসব স্টেজ পারফরম্যান্স থেকেই তারা দারুন অর্থ উপার্জন করে থাকে। কিন্তু এর মধ্যেই যারা শীর্ষস্থানে রয়েছে, কিন্তু স্টেজ পারফর্মেন্স এর মাধ্যমে লাখ থেকে কোটি টাকা উপার্জন করে খুব সহজেই।
বর্তমান সময়ে ভারতের সবথেকে জনপ্রিয় সুরেলা গায়ক অরিজিৎ সিং। তিনি তার স্টেজ পারফর্মেন্স এর মাধ্যমে খুব সহজেই মাতিয়ে তোলে সকল শ্রোতাদের। বলিউডে পদার্পণ করার পর থেকে, একের পর এক হিট গানের বন্যা বইয়ে দিয়েছে সে। তাই তার জনপ্রিয়তা যত বেশী ততটাই বেশী তার উপার্জন। একটি স্টেজ পারফরম্যান্স করে অরিজিৎ সিং ১-১.৫ কোটি টাকা সহজেই আয় করে।
এরপরেই যদি আরেকজন সঙ্গীত পরিচালক ও গায়ক এর কথা বলা হয় ,তাহলেই যার নাম সবার প্রথমে উঠে আসবে সে হলো এ আর রহমান। তার জনপ্রিয়তা সারাবিশ্বে, স্লামডগ মিলিয়নিয়ার এর জন্য তিনি পেয়েছেন অস্কার, সাথে তার ঝুলিতে রয়েছে গ্র্যামি। এই সঙ্গীত পরিচালক যখন স্টেজ শো করে থাকে, তখন লোকে পাগলের মত ভিড় করে সেই স্টেজ পারফরম্যান্স দেখে। তিনিও ঠিক সমান জনপ্রিয় ও চাহিদা পূর্ণ। তাই তার একটি স্টেজ পারফরমেন্সের উপার্জন ১ কোটি টাকার ওপরে।
এরপরেই তাদের নাম না নিলে , হবেই না তাদের মধ্যে সোনু নিগম, মোহিত চৌহান, শ্রেয়া ঘোষাল, সুনিধি চৌহান অন্যতম।
এদের আয় গড়ে প্রায় একই, এরাও একটা সময় কোটির ঘরে উপার্জন করলেও কিছুটা আয় তাদের কমে এসেছে, কিন্তু জনপ্রিয়তা আগের মতোই রয়েছে । তাই তারা যখন স্টেজ শো করে তখন তারা ৩০-৭৫ লক্ষ টাকা নিয়ে থাকে।