কাছে হোক কিংবা দূরে মধ্যবিত্তদের কাছে সহজলভ্য পরিবহন মাধ্যম বলতে আমরা ট্রেনকেই বুঝি। ট্রেনে যাতায়াত করে বেড়াতে যাওয়া থেকে অফিস যাওয়া সবই রোজ করেন সাধারণ মানুষ। কত মানুষতো এই ট্রেনে হকারি করেই সংসার চালান। কিন্তু আমাদের হাওড়া ডিভিশন বলো বা শেয়ালদা ডিভিশন উভয় ক্ষেত্রেই মারাত্মক রকমের ভিড় হয়। হাওড়া ডিভিশনে ট্রেনের সংখ্যা বেশি হওয়ায় ভিড় একটু কম হলেও শেয়ালদা লাইনে এক ঘণ্টা পর পর ট্রেন থাকার কারণে বিশাল ভিড় হতে দেখা যায়।
আর সেই তুলনায় সিট অনেকটাই সংক্ষিপ্ত হয়ে দাঁড়ায়। একবার এক সংবাদ মাধ্যমকে রেলের তরফ থেকে বলা হয় যে, ট্রেনে প্রতিটা সিটের রোতে ৩ টে করেই সিট রাখা হয়েছে কিন্তু মানুষের সুবিধার জন্য যাত্রীরাই ওটা ৪ জনে ব্যাবহার করেন। এটা তাদের বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যাবহারের জন্যই সম্ভব হয়। এদিকে যাত্রীদের তরফ থেকে একগাদা অভিযোগ শোনা যায় এই সিট নিয়ে।
অনেক সময় তো ট্রেনের মধ্যে এই সিট নিয়ে ঝগড়া হতেও দেখা যায়। এখন সব ট্রেনেই অ্যাডজাস্ট করে ৪ জনেই যায় যাত্রী রা। কিন্তু বেশ কিছু এমন মানুষও তো থাকেন যারা অন্যের অসুবিধে হলেও অ্যাডজাস্ট করতে চান না। আর তখনই সমস্যা শুরু হয়। অনেক যাত্রীরা এই চারজন মিলে একটি রোতে যাওয়ার প্রসঙ্গে এমনও বলেন যে, অমন ভাবে বসে যাওয়ার তুলনায় দাঁড়িয়ে যাওয়া ঢের ভালো।
রেলে এবার ব’হু নি’য়ো’গ, উচ্চ মাধ্যমিক পাশ হলেই করতে পারবেন আবেদন
কিন্তু তবুও তো দেখা যায় চারজনেই যাচ্ছে বেশিরভাগ ট্রেনে। বিশেষ করে যারা রোজ পাসেঞ্জারি করেন তারা মানিয়ে নিতে শিখে গেছেন। তবে রেলের তরফ থেকে এই বিষয়ে একটু ভেবে দেখা উচিত। যেভাবে দিন দিন যাত্রীদের সংখ্যা বাড়ছে তাতে এক সিট বাড়ানো উচিত নয়তো ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো উচিত। বিশেষ করে শেয়ালদা ডিভিশনে।