সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

গ্রীষ্মকালে শরীরকে সু’স্থ রাখতে কত লিটার জলপান করা উচিত? কি বলছেন পুষ্টিবিদরা?

জলের আরেক নাম জীবন এটি কেনো বলা হয় এটা আমরা বুঝতে পারি এই গ্রীষ্মকাল এলে। কারণ এই সময় একটু জলের জন্য প্রাণ হাঁসফাঁস করে। জলপানের পরিমাণ কমিয়ে দিলে শরীরে বহু সমস্যা দেখা দিতে পারে। ডিহাইড্রেশন থেকে কিডনিতে স্টোন, দেহের তাপমাত্রার ভারসাম্য হারিয়ে ফেলা সহ নানা জটিল অসুখে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়।

তাই এই গরমের মধ্যে পরিমাণ মত জল পান করা ভীষন জরুরি। এখন প্রশ্ন হল, এই তপ্ত আবহাওয়ায় দিনে কতটা জলপান করা উচিত? সেই প্রশ্নের উত্তর দিলেন কলকাতার বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ কোয়েল পাল চৌধুরি। কোয়েল পাল চৌধুরি জানালেন, জল আমাদের দেহে অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এর কাজের অন্ত নেই। রক্ত তৈরি থেকে শুরু করে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কাজ নিয়মিত করে জল।

এছাড়া জল আমাদের শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, হজমে সাহায্য করে, মেটাবলিজম বা বিপাককে ত্বরান্বিত করে, শরীর থেকে খারাপ পদার্থ বের করে দেয় এবং জয়েন্টকে পিচ্ছিল রাখতে সাহায্য করে। তাই জলকে জীবন বলাই যায়। ফলে কিছুটা সময় অন্তর অন্তর জলপান করুন।

আরো খবর: এবার ৫০ টা’কা’তেই মিলছে স্টাইলিশ জামা ও টপ, পয়লা বৈশাখে এই বাজারেই ভি’ড় করছেন ক্রেতারা

বিশেষত, গরমে জলপান তুলনায় বাড়াতে হবে। পুষ্টিবিদ আরো জানান যে, একজন ব্যক্তির কতটা জলপান জরুরি তা তাঁর পেশা, ওজন, উচ্চতা ইত্যাদির উপর নির্ভর করে। তবে সাধারণ হিসাবে বলা যেতে পারে দিনে ৩ থেকে ৪ লিটার জলপান তো করতেই হবে।

একজন প্রাপ্তবয়স্ক নারী বা পুরুষের এই পরিমাণ জল অবশ্যই পান করা উচিত। তবেই এই গরমে শরীরকে সুস্থ রাখতে পারবেন। নতুবা এই ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মত গরমে নিজেকে সুস্থ রাখা খুব মুস্কিল। বিশেষ করে যারা সারাদিন বাড়ির বাইরে থাকেন তাদের জন্য তো বিশেষ করে দরকার জল পান করা বেশি করে।

কারণ তাদের শরীর আরো তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়। তাই যখনই তৃষ্ণা পাবে জলপান করুন। গলা ও জিভ শুকিয়ে আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন না। বরং তাঁর আগেই জল খেয়ে গলা ভেজান। তাহলেই শরীর সুস্থ খাকবে। এছাড়া খুব গরমে দুপুরের দিকে না বেরনোই মঙ্গল। রোদের তাপ কমলে তবেই বাইরে পা ফেলুন।

আর খুব প্রয়োজন মনে হলে ছাতা ও টুপি নিয়ে তবেই বের হন। এছাড়াও যারা জল খেতে পছন্দ করেন না তারা বিকল্প হিসেবে এই সময়ে খেতে পারেন ডাবের জল। এর মাধ্যমে শরীরের পিএইচ ব্যালেন্স ঠিক থাকে। এছাড়া বাড়িতে ফল কিনে এনে জুস করে খেতে পারেন।

এতেও ভিটামিন, মিনারেল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মিলবে। সঙ্গে তৃষ্ণাও মিটবে তবে প্যাকেটজাত ফ্রুট জুস কখনোই নয়। কিডনির অসুখে ভুক্তভোগীদের জলপান করতে হবে মেপে। এই প্রসঙ্গে চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না। এছাড়া হার্টের বিভিন্ন অসুখেও মেপে জল খেতে হয়। তাই হার্ট ডিজিজে আক্রান্তদেরও জলপান নিয়ে সচেতন হতে বললেন কোয়েল পাল চৌধুরি।