সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

সপ্তাহে কতদিন বন্দে ভারত ছু’ট’বে বাংলায়? ভা’ড়া কত ও কি খাবেন?

গত ৩০ শে ডিসেম্বর থেকেই চালু হয়ে গেল বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। এই ট্রেনটি বাংলার সবচেয়ে দ্রুততম ট্রেন বলে বলা হচ্ছে। এই ট্রেনটি ঘণ্টায় ১৮০ কিমি যেতে পারবে বলে জানানো হয়েছে। তবে রেললাইনের সুস্থতার কথা মাথায় রেখে এটি ১৩০ কিমি পেরোবেনা ঘণ্টায় বলে জানানো হয়েছে। রেললাইন আধুনিকীকরণ না করায় গতি ১০০ কিলোমিটারের বেশি তোলা যাবে না। বেশিরভাগ অংশে ঘণ্টায় ৭০ থেকে ৯০ কিলোমিটারে থাকে গতিবেগ। গড় গতিবেগ ঘণ্টায় ৭২ কিলোমিটার।

এই ট্রেনটি মূলত আপ ২২৩০১ বন্দে ভারত এক্সপ্রেস হাওড়া স্টেশন থেকে নিউ জলপাইগুড়ির উদ্দেশে ছাড়বে ভোর ৫টা ৫০ মিনিটে। নিউ জলপাইগুড়ি পৌঁছবে দুপুর ১টা ২০ মিনিটে। মাঝে শান্তিনিকেতন, মালদা টাউন ও বরসৌইয়ে থামবে। জলপাইগুড়ি যাওয়ার পথে বোলপুরে থামকবে সকাল ৭টা ৪৩ মিনিটে। ১০.৩২ মিনিটে পৌঁছবে মালদা টাউনে। ১১.৫০ মিনিটে যাবে বরসৌই। তার পর ১টা ২৫ মিনিটে পৌঁছবে অন্তিম গন্তব্য নিউ জলপাইগুড়িতে। আবার ডাউন ২২৩০২ বন্দে ভারত এক্সপ্রেস নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে ছাড়বে দুপুর ৩টো ৫ মিনিটে।

সকালে দার্জিলিং ছেড়ে ট্রেনে উঠে পড়তে পারবেন পর্যটকরা। হাহাওড়ায় পৌঁছবে রাত ১০টা ৩৫ মিনিটে। ফলে কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা রাতেই বাড়ি ঢুকে পড়তে পারবেন। যারা মফঃস্বলে থাকেন তারাও ফিরে যেতে পারবেন বাড়ি এই এত অল্প সময়ের মধ্যেই। তবে এই ট্রেন সবদিন চলবে কিনা সেটাও জানা দরকার। আসুন জেনে নেওয়া যাক। রেল বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী জানা যাচ্ছে প্রতি বুধবার আপ ও ডাউন দুই দিকের ট্রেনই বন্ধ থাকবে।

আরো খবর: জে’লে ব’সে থেকেই অধ্যক্ষদের সংগ’ঠ’ন চালাচ্ছেন সুবীরেশ! উঠলো পদত্যাগের দা’বি

এই ট্রেনটি উন্নত মানের ১৬ কামরার সম্পূর্ণ বাতানুকূল ট্রেন বন্দে ভারত। ১৪টি সাধারণ চেয়ারকার, দু’টি এগ্‌জ়িকিউটিভ চেয়ারকার রয়েছে এই ট্রেনে। দু’প্রান্তে থাকবেন চালক ও গার্ড। বন্দে ভারতের প্রতিটি কামরায় রয়েছে স্বয়ংক্রিয় এবং সেন্সর নিয়ন্ত্রিত বাতানুকূল ব্যবস্থা। শৌচাগারের কল, ভেস্টিবিউলের দরজাও নিয়ন্ত্রণ করছে সেন্সর। সবই বায়ো-টয়লেট।
এবার প্রশ্ন হলো এই ট্রেনে মেনু কি রয়েছে??

এই ট্রেনে সমস্ত হাইজিন মাথায় রেখে প্যাকেট বন্ধ হয়েই সব খাবার আসবে। আপ ট্রেনে প্রাতঃরাশ এবং দুপুরের খাবার দেওয়া হবে। থাকবে চা এবং কফিও। জলপাইগুড়ি থেকে হাওড়া ফেরার পথে ডাউন ট্রেনে সন্ধ্যার জলখাবার দেওয়া হবে। চা ও কফি থাকবে। ডিনার ও পরিবেশন করা হবে। তবে বন্দে ভারত ট্রেনে মধ্যাহ্ণভোজে এলাহী আয়োজন রয়েছে। দুপুরের মেনুতে থাকছে, সরু চালের পোলাও, পরোটা, মুরগির মাংস, আলু ও ফুলকপির তরকারি।

সেখানেই শেষ নয় বাঙালির রসনাতৃপ্তির কথা মাথায় রেখে শেষপাতে চাটনি এবং মিষ্টিও রয়েছে। স্ন্যাক্সে রয়েছে ফিশ ফিঙ্গার, চিকেন ফিঙ্গার। ব্রেকফাস্টে স্যান্ডউইচ, কেকও মিলছে। আর এই খাবারের দাম আলাদা করে দেওয়ার প্রয়োজন নেই। সবটা টিকিটের সাথেই ধরে নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। এবার এই ট্রেনে কত টাকা ভাড়া ধার্য করা হয়েছে আসুন জেনে নেওয়া যাক। এই ট্রেনে হাওড়া থেকে এনজেপি সিসি ভাড়া ১,৫৪৩ টাকা, এক্সিকিউটিভ ভাড়া ২৮০৩ টাকা। হাওড়া থেকে বোলপুর সিসি ভাড়া ৬২৮ টাকা, এক্সিকিউটিভ ভাড়া ১১৫০ টাকা।

হাওড়া থেকে মালদা সিসি ভাড়া ৯২৯ টাকা, এক্সিকিউটিভ ভাড়া ১৭৫৩টাকা। যেহেতু বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনটিতে সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ১৬টি চেয়ার কার কোচ রয়েছে। আবার দুই ধরনের বসার আসন আছে। একটি হল সিসি এবং আরেকটি এক্সিকিউটিভ ক্লাস। তাই রেলের তরফে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের এই দামই প্রকাশ করা হয়েছে। তবে এত অল্প সময়ে এত দুর যাওয়ার যে সুবিধে নাগরিক পাবে তাতে অনেকের অবশ্যই অনেক সুবিধে হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।