সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

ভো’টে জা’মা’ন’ত কিভাবে বাজেয়া’প্ত হয়? টা’কা’টা কি ক’রা হয়?

সদ্য সমাপ্ত হয়েছে হিমাচল প্রদেশ ও গুজরাট বিধানসভার নির্বাচন। দুটি নির্বাচনে জয়ী প্রার্থীরা পরাজিতদের তুলনায় বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন। কিছু কিছু প্রার্থীর জামানত চিরতরে বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এই জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়ার ব্যাপারটা কি? রাজনৈতিক মহলে এই কথাটা অহরহ শোনা যায়। কিন্তু এর তাৎপর্য কি জানেন! আসলে জামানত হলো নির্বাচনের নিরাপত্তা জনিত নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ। প্রতিটি নির্বাচনের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও সুরক্ষা বজায় রাখবার জন্য এই নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করা হয়।যা জমা করতে হয় রিটার্নিং অফিসারের কাছে।

যিনি ভোটে দাঁড়িয়েছেন অর্থাৎ প্রার্থী এই অর্থ জমা দেন। এই অর্থ সম্পূর্ণ নগদ পরিমাণে জমা দিতে হয়। মনোনয়নপত্র পেশ করবার সময় এই অর্থ জমা করতে হয়। প্রার্থী মনোনয়নপত্রের সঙ্গে রশিদ জুড়ে জমা দেন এটি। সেই রশিদে লেখা থাকে প্রার্থীর হয়ে এই অর্থ রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া বা সরকারি কোষাগারে জমা করা হলো।

যারা সত্যি কারের ইচ্ছুক তারাই যাতে এই নির্বাচনের অনুষ্ঠানে যোগদান করতে পারেন তার জন্যই মনোনয়ন দাখিল করা হয়। আর সেই মনোনয়নে জামানত জমা করার এই ব্যবস্থা রয়েছে। এখন প্রশ্ন হল সবাই কি একই পরিমান জামানত জমা করে থাকেন? এটি নির্দিষ্ট নির্বাচনের উপর ভিত্তি করে। ১৯৫১ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইনে নির্বাচন স্তরের উপর নির্ভর করে এই জামানতের পরিমাণ উল্লেখ করা রয়েছে।

আরো খবর: আপনার কি প্রতিদিন জল কম খাওয়া হ’চ্ছে? এই লক্ষণগুলোতেই লু’কি’য়ে আছে উত্তর

যেহেতু লোকসভা এবং রাজ্যসভার নির্বাচন অপেক্ষাকৃত বড় হিসেবে গণ্য করা হয়। এক্ষেত্রে এই জামানতের পরিমাণ দাঁড়ায় ২৫ হাজার টাকা। এটা সাধারণ প্রার্থীদের জন্য। তপশিলি জাতি ও উপজাতিভুক্ত প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এই জামানতের পরিমাণ হয় ১২৫০০ টাকা। বিধানসভা বা পরিষদের নির্বাচনের ক্ষেত্রে এই অর্থের পরিমাণ হয় ১০ হাজার টাকা।

তপশিলি জাতি ও উপজাতিদের জন্য এই জামানতের পরিমাণ ৫ হাজার। রাষ্ট্রপতি ও উপরাষ্ট্র প্রতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে অর্থ বরাদ্দ করা হয় ১৫ হাজার টাকা। কোন নির্বাচনে প্রার্থীর বৈধ ভোটের পরিমাণ মোট বৈধ ভোটের ছয় ভাগের এক ভাগ কম হলে তার জামানাত বাজেয়াপ্ত হয়। এমনটাই থাকে জামানতের শর্ত।

যদি লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেন প্রার্থী তবে ফেরত দিয়ে দেওয়া হয় তার জামানত। যদি কোন প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন বা ভোটের আগে মারা যান সে ক্ষেত্রেও তার অর্থ ফেরত দেওয়া হয়। এটি নির্বাচনী প্রার্থী একাধিক সংসদীয় নির্বাচনী এলাকায় বা বিধানসভা কেন্দ্রের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তবে একটি জামানত ফেরত দেওয়া হয়।