সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

H’I’V প’জি’টি’ভ, বি’য়ে’র ৫ দিন না হতেই ছুটিতে পা’ঠি’য়ে দি’লো স্কুল কর্তৃপক্ষ

এক অমানবিক চিত্রের সম্মুখীন আমরা, যেখানে আজও কুসংস্কারচ্ছন্ন আমাদের সমাজ। এর আগে আমরা দেখেছি কুষ্ঠ রোগ নিওয়ে এরকম নানান কুসংস্কার আমাদের সমাজে ছড়িয়ে রয়েছে, যে কারণে কুষ্ঠ রোগীদেরও এক ঘরে করে রাখা হতো। এবার কুষ্ঠ নয় এ’ই’চ’আ’ই’ভি। এই মারণ রো’গ নব দম্পতির জীবনে অন্ধকার ঘনিয়ে এনেছে।

আমরা কথা বলছি সৌমিত্র গায়েন ও সুমিতা যাদবের। যারা সাত পাকে বাঁধা পড়েছিল ১২ই ফেব্রুয়ারি। তার ঠিক পাঁচ দিনের মাথায় অর্থাৎ ১৭ই ফেব্রুয়ারি তাঁরা জানতে পারেন এ’ই’চ’আ’ই’ভি পজে’টি’ভ এর বিষয়টি। সৌমিত্র বাবু পেশায় একজন স্পেশাল এডুকেটর। একটি বেসরকারি স্কুলে তিনি চাকরিরত।

স্কুলে এই বিষয়টি জানাজানি হতেই তাঁকে ইতিমধ্যে বেশ কিছুদিনের ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। স্কুল থেকে তাঁকে অফিসে এসে মাইনে নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয় এবং মাঝেমধ্যে যোগাযোগ রাখার কথাও তাঁকে জানানো হয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে ছুটিতেই থাকার পরামর্শ দেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।

আরো খবর: ভু’য়ো ব্যাংক Account তাঁর নামে, ত’দ’ন্ত চেয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন শিশির অধিকারী

তার কারণ হিসেবে স্কুল কর্তৃপক্ষ জানান স্কুলের উপর অভিভাবকদের নানান চাপ রয়েছে। অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের নিয়ে যথেষ্ট আতঙ্কিত। যদি এই রো’গ ছড়িয়ে পড়ে তাদের সন্তানের মধ্যেও। আজকের সমাজে দাঁড়িয়ে কুসংস্কার যে ঘাঁটি গেঁড়ে রয়েছে তা নতুন করে বলার কিছু নেই। এইচআইভি কখনোই ছোঁয়াছুঁয়ির মাধ্যমে ছড়ায় না।

এত প্রচার যে শুধুমাত্রই ব্যর্থতা পেয়েছে তা বেশ স্পষ্ট। ইতিমধ্যে এই ঘটনা নিয়ে তীব্র নিন্দার ঝড় উঠেছে রাজনৈতিক মহলেও। বিজেপি অধিনায়ক অগ্নিমিত্রা পল এই নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন এবং তিনি অবিলম্বে সৌমিত্রকে তাঁর চাকরি ফিরিয়ে দেবার দাবিও করেছেন। এভাবে কোন মানুষের চাকরি থেকে তাঁকে হেনস্থা করবার কারোর কোন অধিকার নেই।