সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

এবার বাংলাদেশ খা’বে উটপাখি! দাম খাসির চেয়েও অনেক স’স্তা

বর্তমানে বাজারে খাসির মাংসের দাম যে হারে বাড়ছে তাতে তা কার্যত সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় আমিষের ঘাটতি পূরণের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা খোঁজার চেষ্টা চলছে। বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট দপ্তর খাসির বদলে উট পাখির মাংসের প্রচলন শুরু করার চিন্তা ভাবনা করছে। উট পাখির মাংস খেতে অনেকটা মুরগির মাংসের মতই। পাশাপাশি এর দাম খাসির মাংসের তুলনায় অনেক কম। এই পাখি প্রতিপালনের ক্ষেত্রেও খরচ অনেক কম হয়।

এই নিয়ে গবেষণা চালানোর জন্য বর্তমানে সাতটি উট পাখির উপর গবেষণা চালানো হচ্ছে। কিভাবে কোন পদ্ধতিতে প্রতিপালন করলে সব থেকে বেশি ডিম এবং মাংস পাওয়া যেতে পারে সেই নিয়ে চলছে গবেষণা। এই গবেষণা সফল হলে বাংলাদেশের বাজারে আমিষের ঘাটতি পূরণ করার জন্য একটি বড়সড় মাধ্যম হয়ে উঠতে পারে উটপাখি। সাধারণত এক একটি পূর্ণবয়স্ক উটপাখি থেকে ১০০-১৫০ কেজি পর্যন্ত মাংস পাওয়া যায়।

একটি পূর্ণবয়স্ক উটপাখির তিনটি মাঝারি সাইজের গরুর সমান। সাধারনত বাংলাদেশের হাঁস-মুরগি, কোয়েল, পায়রাসহ বহু পাখির মাংস খাওয়ার প্রচলন আছে। কাজেই যেখানে একটি উট পাখির দেহ থেকে এত বিপুল পরিমাণ মাংস পাওয়া যাচ্ছে সেখানে উটপাখিকেই আমিষের ঘাটতি পূরণের বিকল্প হিসেবে ব্যবহারের কথা ভাবছে বাংলাদেশের সরকার।

উট পাখির মাংসের পাশাপাশি ডিমও অমলেট হিসেবে খাওয়া যায়। তবে এই পাখির ডিমের ঘনত্ব এতটাই বেশি যে তার মধ্যে জল ঢালতে হয়। একটি উট পাখি সাধারণত চার বছরের মাথায় কাটার উপযোগী হয়ে ওঠে। উট পাখির মাংস, চামড়া এবং পালকের চাহিদা রয়েছে আন্তর্জাতিক বাজারে।