নামের আমি নামের তুমি নাম দিয়ে যায় চেনা। নাম ছাড়া একজন মানুষকে চেনা অসম্ভব। ভারতীয় উপমহাদেশে মেয়েদের নামে নানান বৈচিত্র্য রয়েছে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই লক্ষ্য করে দেখবেন ভারতীয় মেয়েদের নামের শেষে এ বা আই অক্ষর বেশি থাকে। কিন্তু কেন এমন থাকে জানেন কি? দুই অক্ষর হোক বা পাঁচ অক্ষর মেয়েদের নামের শেষে এ বা আই থাকে সবচেয়ে বেশি। এর পিছনে রয়েছে একটি বিশেষ কারণ।
এক মুহূর্তে মনে করে নিন তো আপনার চেনা পরিচিত মেয়েদের নামের শেষ অক্ষরটি। ৯০% ভারতীয় মেয়েদের নাম এ এবং আই দিয়ে শেষ হয়। বিশেষত হিন্দু মেয়েদের নামের ক্ষেত্রে এমনটা দেখা যায়। এর পিছনে রয়েছে সংস্কৃত ভাষা।শুধুমাত্র ভারত নয় গোটা পৃথিবীর মধ্যে অন্যতম প্রাচীন ভাষা হল সংস্কৃত বা দেবভাষা।
সংস্কৃতি মহিলাদের সম্মোধন করবার সময় আকার যুক্ত স্ত্রীলিঙ্গ ব্যবহার করা হতো।। অর্থাৎ এ অক্ষর দিয়ে শেষ হওয়া শব্দ।সংস্কৃতির প্রতিটি শব্দের একটি গঠনগত ও একটি অর্থ গত রূপ রয়েছে। ব্যাকরণ অনুযায়ী যদি নির্দিষ্ট অবস্থানে aa বা e/I যোগ হয় তবে তা পরিণত হয় স্ত্রীলিঙ্গে। যেমন বরুন থেকে বরুনা, রোহিত থেকে রোহিতা, শ্যামল থেকে শ্যামলী।
আরো খবর: নারী-পুরুষ উভ’য়ে’র শ’রী’রে’র সবথেকে নোং’রা অংশ কোনটি?
তবে আধুনিক নামকরণের ক্ষেত্রে কোন পুরুষের নাম যোগ করে মেয়েদের নামকরণ করা হয় না। প্রাচীন সংস্কৃতির সেই ধারা আজও অব্যাহত রয়েছে। তাই বেশিরভাগ মেয়েদের নাম ই কার বা আ কার দিয়ে শেষ হয়। এবার বুঝলেন তো মেয়েদের নামের পিছনে লুকিয়ে থাকা এই আসল কারণটি।