চোর ধরতে ও চোরের লুকোনো গুপ্তধন খুঁজে বের করতে পুলিশের যে কোথায় কোথায় হাত ঢুকাতে হয়, জানতে পারলে আপনি হয়তো ঘেন্নায় মরে যাবেন। হরিদেবপুর এর টাকা গয়না চুরির ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ এর একেবারে যাচ্ছেতাই কান্ড।সূত্রের মাধ্যমে পুলিশ খোঁজ করতে করতে চোরের হদিস পায় ঠিকই কিন্তু তার লুকোনো গুপ্তধনের খোঁজ প্রথমেই পাওয়া সম্ভব হয়না তাদের।
পরে যখন চোরের ভাড়াবাড়ির হদিস মেলে পুলিশের, তখন জানা যায় যে সেই ভাড়াবাড়ির মধ্যেই লুকিয়ে রেখেছে চোর তার গুপ্তধন। কিন্তু বললেই তো আর হলো না সেটাকে খুঁজে বার করাটাই আসল কাজ। চোরের গাইগুই দেখে যখন পুলিশ ধমক মারে, তখন চোর সুরসুর করে লুকোনো মালপত্রের হদিশ দেয় ঠিকই, কিন্তু সেখান থেকে চুরি যাওয়া জিনিস বের করতে একেবারে কালঘাম ছুটে যায় পুলিশের। কারণ চোর সোনাদানা সবকিছু লুকিয়ে রাখে শৌচাগারের প্যানের মধ্যে, কিন্তু সেটা এখন নিজে হাত ঢুকিয়ে বের করতে চায় না সে। অগত্যা পুলিশকেই হাত ঢোকাতে হয় সেই দুর্গন্ধ পচা শৌচাগারের প্যানের মধ্যে।
গতবছর হরিদেবপুর এর এক মহিলা বাসিন্দার ফ্ল্যাটে চুরি যাওয়ার অভিযোগ দায়ের করে থানায়। তিনি জানায় ২৬ ও ২৯ ডিসেম্বর কেউ বাড়িতে না থাকায়, আলমারি ভেঙে টাকা গয়না লুট করা হয়, সব মিলিয়ে হিসাব করলে 5 লক্ষ টাকার জিনিস চুরি হয় বাড়ি থেকে। এরপরই থানায় অভিযোগ জানানোর পরে পুলিশ তার কাজে লেগে যায়, ও সূত্রের মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ খবর লাগিয়ে চোর শঙ্কর রজবরকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
চুরি যাওয়ার পর স্বাভাবিকভাবেই শঙ্করের ওপরে পড়েছে চুরি করার দায়। কারণ এই ধরনের চরিত্রে একেবারে সিদ্ধহস্ত তিনি, মানুষের ঘরের পাইপ বেয়ে বাড়িতে ঢুকে চুরি করতে দারুণ ওস্তাদ সে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সারাদিন মদ খেয়ে থাকে সে , ধরা পড়ার পরে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যে তার ভাড়া বাড়িতে আছে সেইসব চুরি যাওয়া জিনিস। কিন্তু সারাবাড়ি তন্নতন্ন করে খুঁজেও মেলেনা কোনো জিনিসের চিহ্ন। পরে পুলিশের ধমক খেয়ে সে জানায়, সমস্ত কিছু সে লুকিয়ে রেখেছে শৌচাগারের পচা দুর্গন্ধযুক্ত প্যানে।