গোটা বছর ধরে চলে বাঙালির ভুরিভোজের দিন, আজ এই উৎসব তো কাল সেই উৎসব। সামনে আসতে চলেছে জামাই আদর করার উৎসব, জামাইষষ্ঠী।
এই দিনেই শাশুড়ি মায়েরা জামাইদের পছন্দসই খাবার খাওয়াবেন। হাতে মাত্র কয়েকটা দিন বাকি এখন থেকেই প্ল্যান করা চাই, জামাইষষ্ঠীতে জামাই এর পাতে ইলিশ মাছ, বড় বড় গলদা চিংড়ির সহ পাবদা মাছ না দিলে একেবারে চলে না বাঙালি শাশুড়িদের।
তবে জামাইষষ্ঠী যতই সামনে আসুক না কেন ইতিমধ্যে দুমাস ধরে মাছ ধরার জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সেই কারনে ইলিশ পাওয়া এই মুহূর্তে আর সম্ভব হচ্ছে না। ঘুরেফিরে এককথায় বাঙালির ভুরিভোজ।
ইলিশ তো দরকারই তার ওপর আবার জামাইষষ্ঠী, ইলিশ না হলে চলে? তবে শাশুড়িদের মন ভোলাতে এখন ব্যবসায়ীরা ভরসা করে রয়েছেন রূপনারায়ণের ইলিশের উপর। জামাইষষ্ঠীতে জামাইদের পাতে যাতে ব্যবসায়ীরা ইলিশ দিতে পারে সেই জন্য আগে থেকে সরিয়ে রাখছেন।
ইতিমধ্যেই এখন ক্রেতাদের সামনে বাজারে আনা হচ্ছে না ইলিশ মাছ, তবে গোডাউনে রয়েছে রুপোলি শস্য। ইলিশের যোগান কম সেইজন্যই দামও চড়া।
তবে এরই সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে মহিষাদল মাছ বাজারের আরদের মনোজিৎ প্রশান্ত ভুঁইয়ারা জানিয়েছেন,” দীঘার মোহনা থেকেই ইলিশ আনা হয় কিন্তু, এখন সমুদ্রে মাছ ধরা নিষেধ নতুন করে আর সমুদ্র থেকে মাছ ধরতে পারেনি মৎস্যজীবীরা।
আগামী ১৫ ই জুন পর্যন্ত থাকবে এই নিষেধাজ্ঞা। কিন্তু, রূপনারায়ন নদী থেকে মৎস্যজীবীরা মাছ ধরেছে যেগুলি বিভিন্ন বাজারে যাচ্ছে। রূপনারায়ন সহ অন্যান্য কয়েকটি নদী থেকে ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে হাতে গোনা কয়েকটা, যদিও তার দাম আকাশছোঁয়া।
বর্তমানে বিক্রি ১০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ গ্রামের ইলিশ, অন্যদিকে ১ কেজি ওজনের ইলিশের দাম এখন ২০০০ টাকার ওপরে।
তবে বর্তমানে যেভাবে বাজারে টান পড়েছে সেরকম পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে জামাইদের পাতে এবার কতজন শাশুড়ি ইলিশ মাছ রাখতে পারবে সেটাই হলো এখন প্রশ্ন।