আমরা যখন কোনো কারণে ভীষন বিরক্ত হই আমরা রিঅ্যাক্ট করে উঠি আমরা আর তখন সেই পরিস্থিতিটা সহ্য করতে পারি না। শুধু মানুষ নয় প্রতিটি প্রাণী তার নিজের মতন করে প্রতিবাদ জানায় তাদের বিপদ আসন্ন দেখলে। আর ঠিক তেমন ভাবেই বেশ কিছু দিনের গবেষণায় উঠে আসা তথ্য বলছে গাছেরাও তাদের প্রতিক্রিয়া জানাতে সক্ষম। তাদের উপর হওয়া অন্যায়ে তারাও চেঁচিয়ে ওঠে।
জানা যাচ্ছে বিখ্যাত বিজ্ঞান পত্রিকা ‘সেল’এ সম্প্রতি একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়। তাতে বলা হয়, ক্রমাগত জল না পেলে অতি উচ্চমাত্রায় চেঁচিয়ে উঠতে পারে গাছ। তবে কিনা সেই হুঙ্কারের ফ্রিকোয়েন্সি অনেকটাই বেশি। তাই মানুষের কানে তা শোনা মুশকিল। এছাড়াও ওই গবেষণাপত্রে দাবি করা হয়, বায়ুবাহিত শব্দও গাছেরা করতে পারে।
এই ধরনের শব্দ সাধারণত খরার সময় করে থাকে উদ্ভিদরা। এছাড়াও গাছ কাটা হলে সেই সময়েও আর্তনাদ করে ওঠে গাছ। শুধু তাই নয় যেকোনো বিপদের সন্মুখীন হলে টম্যাটো ও তামাক গাছ শুধুই চিৎকার করে না, বরং এত জোরে চেঁচায় যে কীট পতঙ্গসহ অন্য প্রাণীরা তা শুনতে পায়।
আরো খবর: প্রিয়াঙ্কাকে সরাসরি বি’য়ে’র প্রস্তাব দিয়েছিলেন শাহরুখ! কি উত্তর ছিলো দেশি গার্লের?
গবেষকদের কথায় উদ্ভিদরা অন্যান্য প্রাণীদের মতো দৌড়াতে পারে বিপদ দেখলে। তাই চিৎকার করেই নিজের বিপদের কথা অন্যদের জানান দেয়। কিন্তু চলা ফেরার ক্ষমতা নেই বলে উদ্ভিদ জাতির মধ্যে তৈরি হয়েছে এক জটিল জীবরাসায়নিক ব্যবস্থা।
যার সাহায্যে অঙ্গ ছাঁটাইয়ের পরেও বেড়ে উঠতে পারে গাছ। আলো, পৃথিবীর টান, উষ্ণতা ইত্যাদির সাহায্য নিয়ে সহজেই বড় হতে পারে গাছ। আর সেই উপাদানগুলির সাহায্যেই গাছ সাড়া দেয় যেকোনও রকম বিপদের বিরুদ্ধে।
এমনটাই উঠে এসেছে তেল আভিভ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের সাম্প্রতিকতম গবেষণায়। আমরা ছোটো বেলায় পড়েছিলাম গাছেদেরও নাকি প্রাণ আছে এখন সেটা আরো ভালো ভাবে প্রমানিত হলো। তাদেরও ব্যাথা হয় তারাও কষ্ট পেলে চিৎকার করে একটা মানুষের মতোই। কেবল সেটা আমরা শুনতে সক্ষম নই।